বাংলার জেলায় জেলায় প্রকাশ্যে আসছে গেরুয়ার গোষ্ঠীকোন্দল। মধ্যমগ্রাম থেকে চন্দ্রকোনা, সব জায়গাতেই বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে। মধ্যমগ্রাম জুড়ে বারাসাত জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে পোস্টার ও ব্যানার লাগালেন বিজেপিরই একদল কর্মী। বারাসাত জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতেই এই পোস্টার ও ব্যানারে ছেঁয়ে গেছে মধ্যমগ্রামের দোলতলা, গঙ্গানগর, স্টেশন চত্বরের একাংশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মোটা টাকার বিনিময়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ বিক্রি করেছেন। পোস্টারে নীচে লেখা, ‘বারাসাত বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ’।
সম্প্রতি বিজেপির বারাসাত জেলার মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে বারাসাত-ব্যারাকপুর রোডের সামনে প্রকাশ্যেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ই শংকর চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে মোটা টাকার বিনিময়ে মণ্ডল পদ বিক্রির। তারপর থেকেই এই পোস্টার পড়ছে মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন অঞ্চলে।
অন্যদিকে, চন্দ্রকোণা রোডের একাধিক জায়গায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারকে কেন্দ্র করে বিজেপির গোষ্ঠী-কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। চন্দ্রকোণা রোডের বাসস্ট্যান্ড, স্টেশন এলাকা, বিডিও অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারের একেবারে উপরে বিজেপির প্রতীক দেওয়া ছিল। নীচে চারটি পয়েন্ট দিয়ে বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে লেখা রয়েছে।
এক নম্বর পয়েন্টে লেখা রয়েছে, তোলাবাজ, দলীয় তহবিল তছরুপকারী, দলীয় সহকর্মীর সহিত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তিকে দলে আলোচনা ছাড়া দলীয় সভাপতি মনোনীত করা সঙ্গত কি না? দ্বিতীয় পয়েন্ট, এলাকায় অসামাজিক ক্রিয়ায়(লোটো, মধুচক্র, নারীব্যবসা, অবৈধ জমির দালালি) অর্থের বিনিময়ে মদতদাতার সঙ্গে রাজনৈতিক কাজকর্ম করা সম্ভব কি না? তিন নম্বর, মহিলা নেত্রীকে দিয়ে ফোনে সাধারণ কর্মীকে ডেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে বিয়ে করতে চাপ দেওয়া, অন্যথায় রফা সঙ্গত কি না?
এই ঘটনায় তৃণমূলের গড়বেতা-৩ ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ বলেন, এতদিনে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের নেতাদের চিনতে পেরেছে।