২০১৪ সালের ২ অক্টোবর। ধুমধাম করে স্বচ্ছ ভারত অভিযান এর প্রচার শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেই দিয়েছিলেন, ঘরে ঘরে শৌচালয় গড়ে উঠবে এবার। মোদী তখন আরও বলেছিলেন, দেশের অন্তত ৬০ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় এখনও মানুষজন খোলা জায়গায় মল ও মূত্র ত্যাগ করেন। তারপরই ঘরে ঘরে শৌচালয় গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
একসময় স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে কেন্দ্র সফল হিসেবে তুলেও ধরেছিল। কিন্তু যে চিত্রটা এবার সামনে এসেছে, তাতে কলঙ্কের ভাগিদার হতে হচ্ছে মোদী সরকারকে। কেন্দ্র দাবি করেছিল, ২০১৪ সালের পর থেকে অন্তত সাড়ে নয় কোটি শৌচালয় তারা তৈরি করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় ৩৮ শতাংশ সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মীদের জন্যই শৌচালয় নেই!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন গত ২২ নভেম্বর লোকসভায় এমনই তথ্য পেশ করেছেন। তারপরই হইচই শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রশাসিত অন্তত ১০টি রাজ্যের ৫০ শতাংশের বেশি সরকার পরিচালিত গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই বেহাল অবস্থা। কর্মীদের জন্য শৌচালয় নেই। তারমধ্যে তেলঙ্গনা, রাজস্থান, গুজরাট, বাংলা, মধ্যপ্রদেশ রয়েছে।
হায়। চার বছরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদীর সাধের স্বচ্ছ ভারত অভিযান।