অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে দিন কয়েক আগে লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধী দল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ‘নির্বলা’ বলে উপহাস করেছিলেন৷ সেই নিয়ে বিজেপি বহরমপুরের এই কংগ্রেস সাংসদকে তুমুল সমালোচনা করেছিলেন৷ এবার তাঁরা কী করবেন? বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সাফ কথা, অর্থ শাস্ত্র সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা৷ জিডিপি নিয়ে তিনি ভীষণ উদ্বিগ্ন৷ অস্বাভাবিক হারে জিডিপি বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টের পতনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যসভার বিজেপির এই সাংসদ ৷ তিনি তাঁর নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে এই মর্মে তোপ দাগেন।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের অর্থনীতি সম্পর্কে জ্ঞান নিয়েও। বিজেপি সাংসদ আরও দাবি করেন, আসলে জিডিপির বৃদ্ধি ছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ। সরকার পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতের ৪.৫ শতাংশ আসল জিডিপি প্রবৃদ্ধি নয়। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যদি এমন খারাপ হয়, যে কেউ তার সন্তানের স্কুল ফি দিতেও ব্যর্থ হবে। ব্যাঙ্কিং পরিকাঠামোও ভেঙে পড়বে। আমরা অর্থনীতির এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি যে, সংকট দিন দিন বেড়ে চলেছে। একমাত্র অলৌকিক কোনও ঘটনা এই পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে। ভালো নীতিমালা বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি। তবে এমন কোনও ভালো নীতিমালা আসতে দেখছি না।’ অর্থনৈতিক বিড়ম্বনার মাঝে অযোধ্যা রায় প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে স্বামী ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এটি যদি জনগণের বেকারত্বের দিকে আসে তবে অর্থনীতিতে তা অফসেট হবে।
বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, অর্থনৈতিক বিষয়ে তাঁর পরামর্শ শোনেনি মোদী সরকার। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে আমি এ কথা বলে আসছি। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি।’ উল্লেখ্য, এক বছরের আগের একই সময়ে ৭.৫ শতাংশ ছিল জিডিপি। এবার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪ শতাংশ। এটি গত ছয় বছরে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল। ২০১২-১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়কালে পূর্বের নিম্নতম রেকর্ডটি ছিল ৪.৩ শতাংশ। বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সম্পর্কে স্বামী বলেন, ‘তিনি কোনও অর্থশাস্ত্র জানেন না। ওনার অর্থনীতি বিষয়ক কথা শুনলেই তা বোঝা যাবে। দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে তিনি কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারেননি। স্পষ্ট কোনও বার্তা দিতে পারেননি।’