মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর এবার ঝুলি থেকে বেড়াল বের হল। শরদ পাওয়ার জানালেন, ভাইপো অজিত পওয়ারের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিলেন তিনি। অজিত যে দেবেন্দ্র ফডণবিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন, তা তিনি জানতেন বলেও মন্তব্য করেছেন শরদ।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে টানাপড়েন চলাকালীন মোদী তাঁর সমর্থন পেতে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে মোদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার টোপ দিয়েছিলেন বলে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন শরদ পওয়ার। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক বোমা ফাটালেন মরাঠা স্ট্রংম্যান।
মহারাষ্ট্রে একের পর এক রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের ইতি ঘটে বিজেপি বিরোধী জোট সরকার গড়ার পর। কিন্তু এই পর্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঘটনাটি ঘটে অজিত পওয়ারকে নিয়ে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিশেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময়। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং অজিত পওয়ার কথাবার্তা চালাচ্ছে। আমার আশঙ্কা ছিল যে অজিতের এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ ভুল হবে।’ বাস্তবেও অবশ্য তাই হয়েছে। ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অজিত পওয়ার। কিন্তু, আশি ঘণ্টার বেশি টেকেনি সেই সরকার। ফডণবীসকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর পরিস্থিতি পুরোটাই বদলে যায়। পদত্যাগ করেন ফডণবীস। শপথ নেয় এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট।
‘বিদ্রোহী’ অজিতকে অবশ্য ঘরে ফিরিয়ে নিয়েছেন এনসিপি প্রধান। কেন অজিতের এমন পদক্ষেপ তার সমর্থনে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে জোট নিয়ে ধীর লয়ে আলোচনা এবং ক্ষমতার বিভাজন নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ দেখে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন অজিত। তবে দেবেন্দ্রর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি যে একাবের সরকার গড়ে ফেলবেন, তা নাকি আন্দাজ করতে পারেননি তিনি।
‘বিদ্রোহী’ ঘরে ফিরলেও, মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাডি জোটে অজিতের ভূমিকা কী হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করেননি শরদ পওয়ার। তবে তা বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের পর অনেক স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর দাবি, ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাডি জোট আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত চলবে। এখানে পদমর্যাদা নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’