যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, শত্রুঘ্ন সিনহা। ঘরের মধ্যেই মোদী-শাহ-র বিরুদ্ধে আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল অনেক আগে থেকেই। এবার সেই তালিকায় লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজনের নামটাও কি যুক্ত হল? হঠাৎ এই প্রশ্নের আবির্ভাব ঘটালেন স্বয়ং সুমিত্রা মহাজনই। মধ্যপ্রদেশের বিগত বিজেপি সরকারের কাজকর্মের বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তিনি।
শুধু তাই নয়, কৃষক সমস্যা থেকে আরও অনেক স্পর্শকাতর বিষয়েই কংগ্রেসকে সরব হওয়ার কথাই বলতেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি বেশি কিছু বলতে পারতেন না কারন, তিনিও একজন বিজেপি নেতা। তবে ইন্দোরের মানুষের কথা ভেবে অনেক বিষয়ই বলা উচিৎ বলে মনে করতাম। এদিন সুমিত্রা কংগ্রেসের দুই নেতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের অনুরোধ করতেন বলেও সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের আমন্ত্রণে ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে হাজির হন সুমিত্রা মহাজন। সেখানেই তিনি বলেন, আসল উদ্দেশ হল উন্নয়ন, আর যখন সবার নজর উন্নয়নে, তাহলে সেখানে রাজনীতি আনা উচিৎ নয়।
বিরোধী মহলে প্রশ্ন তাহলে কি মধ্যপ্রদেশে চৌহ্বাণ শাসনে খুশি ছিলেন না সুমিত্রা? আর সেজন্যই তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকে বার বার অনুরোধ করতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরব হতে। প্রসঙ্গত, শিবরাজ চৌহ্বাণের সরকারে ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে একের পর কৃষক আত্মহত্যা বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিল কংগ্রেস। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন শিবরাজ। গত বছর ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি তথা শিবরাজের সমস্ত প্লট। রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কমলনাথ।
অসন্তোষ যে অনেক আগে থেকেই বাড়ছিল দলের অন্দরেই তা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। মোদী-শাহ জুটির কর্মপদ্ধতির বিরোধিতা করে এসেছেন যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি থেকে অনেক প্রবীণ বিজেপি নেতাই। আর যাঁরা সরকারে আছেন বলে মুখ খোলেননি পাছে দলের ক্ষতি হয় সেই ভেবে, সেই তালিকাটাও অনেক বড়। লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, আর এবার সুমিত্রা মহাজন।