মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক খোঁচাতেই কাজ হল। বুলবুল বিপর্যয়ে ক্ষতিপূরণের জন্য ৪১৪.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র।
সোমবারই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে বাংলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে উদাসীন নরেন্দ্র মোদী সরকার। ক্ষতিপূরণের জন্য এখনও ১ টাকাও দেওয়া হয়নি বাংলাকে। ঠিক তার পরের দিনই কেন্দ্র ঘোষণা করল, ক্ষতিপূরণের জন্য ৪১৪.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে বাংলার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল উড়িষ্যাতেও। পড়শি ওই রাজ্যে ক্ষতিপূরণের জন্য ৫৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এদিন সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জানান, বুলবুল ঝড়ে বাংলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে উড়িষ্যা জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে কোনও প্রানহাণি হয়নি। কিন্তু বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৮ লক্ষ আট হাজার মানুষ। এছাড়া সড়ক, সেতু-সহ পরিকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথায়, বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্দেশ্যে আগেই বাংলার জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল তার মধ্যে ৪৪২ কোটি এখনও তাদের কাছে রয়েছে। একই ভাবে উড়িষ্যার কাছে রয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা। তার অতিরিক্ত বাংলা ও উড়িষ্যার জন্য যথাক্রমে ৪১৪.৯০ ও ৫৫২ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুলবুলের তাণ্ডবের পরদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোন করে খবর নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পরে দিল্লী থেকে একটি টিম এসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছিল দিন পনেরো আগেই৷ তবে কেন্দ্র যে পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে তাতে রাজ্যের চাহিদা মিটবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ কারণ উড়িষ্যার তুলনায় অনেক বেশি অংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বাংলা৷ অন্যদিকে রাজ্যের দাবি ছিল ফসলের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরে যে সংখ্যা বাড়িঘর ভেঙেছে তাতে ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজন আরো বেশি টাকা৷ তাহলে কী এ নিয়ে ফের রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত দানা বাঁধবে? উঠছে প্রশ্ন৷