হায়দ্রাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসক খুনে উত্তাল গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদ হচ্ছে সর্বত্র। কলকাতার বুকেও ছড়িয়েছে সেই বিক্ষোভের আগুন। প্রতিবাদ উঠছে। হাজারো মানুষ জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি উঠছে। কঠোরতম শাস্তি দাবিতে জমায়েত বাড়ছে। এদিন এই প্রতিবাদের আগুন দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রাঙ্গণে।
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। মিছিলে ছিল সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষা প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে এই মিছিল সেন্ট্রাল পর্যন্ত যায়। নীরব মোমবাতি মিছিলে যোগ দিয়েছিল সাধারণ মানুষও। “দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল চলে। সেখানে নেই কোনো স্লোগান। শুধু নীরব হেঁটে যাওয়া। আর এই ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট ঘটনার প্রতিবাদ। ‘উপযুক্ত শাস্তি’র দাবি দিল্লী দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এযেন এক পদক্ষেপ। নবীন প্রজন্মকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা। এই ধরণের অপরাধ যাতে বন্ধ হয় সেই দিকে সরকারের নজর ফেরানো।
এই প্রতিবাদ মিছিলকে সমর্থন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদের সভাপতি মণিশঙ্কর মন্ডল, ছাত্রনেতা রাজা মেহেদি, রনি ঘোষ প্রমুখ ব্যক্তিবৃন্দ। এই প্রতিবাদ মিছিলের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ছাত্রীরা। নারী নিরাপত্তা ও দোষীদের শাস্তি দুই বিষয়ই উঠে এল এদিনের প্রতিবাদে।