ডেঙ্গি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে বাম-কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গির লার্ভা কি তৃণমূল কংগ্রেস আমদানি করে নাকি। নাকি সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস আমদানি করে? যদি তৃণমূল কংগ্রেস আমদানি করত তাহলে আগে বলতাম আপনাদের গিয়ে কামড়াতে।’
মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতেই বাম-কংগ্রেস বিধায়করা ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ভাষণ দিয়েছিলেন। সুর মিলিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করাও।সেই প্রশ্নের জবাব দিতে উঠেই আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে তার পরিসংখ্যান দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গি রোধে রাজ্য সরকার ৪৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে।’ মমতা আরও বলেন, ‘৪৪ হাজার লোক আক্রান্ত হলেও হাতেগোনা কয়েকজন মারা গিয়েছেন। মানুষের মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু এত লোককে আমরা বাঁচাতে পেরেছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাঁচাতে পেরেছেন। সেটাই ইতিবাচক।’
বিধানসভার বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। তাঁর কথায়, ‘তিন হাজার চিকিৎসক, চার হাজার নার্স এবং ৫১ হাজার সরকারি কর্মী ডেঙ্গি নিয়ে কাজ করছে।’ এরপর কংগ্রেস ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ডেঙ্গি ও সোয়াইন ফ্লুয়ের তথ্য তুলে ধরেন মমতা। উত্তরপ্রদেশে কত আক্রান্ত, কত মারা গিয়েছেন, রাজস্থানের সংখ্যা কী, সব ধরে ধরে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টচার্যও। তিনি বলেন, ‘যাঁর এলাকায় ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি তিনি ভাষণ দিয়ে চলে গেলেন। শিলিগুড়ির মেয়রকে তো আগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। ওঁর এলাকার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যে বাংলা মডেল। কেউ যদি মনে করে ব্যবসার স্বার্থে মিথ্যে ভাষণ দেবেন, সেটা করবেন না প্লিজ।’