লোকসভা নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর যে হিড়িক উঠেছিল তা এখন বেশ ফিকে। সকলেই বুঝছেন বিজেপি আদতে মানুষের জন্যে কাজ করার জায়গা নয়। এবার উপনির্বাচনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরে আরও বেশি করে ভঙ্গ হচ্ছে গেরুয়া মোহ। এবার কোচবিহারেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসা শুরু হল।
সোমবার মাথাভাঙা–২ ব্লকের বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন করে তৃণমূলের বোর্ড গঠন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সেই বোর্ড গঠনের সাক্ষী ছিলেন। বিজেপি–র দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি নিজেদের তাগিদেই তৃণমূলে ফিরতে শুরু করল।
জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, ‘দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথী হল। বিজেপির সন্ত্রাসের জন্য যাঁরা দল ছেড়েছিলেন, তাঁরা আজ সাহস ও ভরসা পেয়ে দলে ফিরেছেন। আমি ওঁদের সবাইকেই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বসিয়ে দিয়ে এসেছি। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত আবারও উন্নয়নে শামিল হবে আজ থেকেই।’
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপি জেতার পর থেকেই এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি শিবিরে নাম লেখান। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস করে সেই পঞ্চায়েতগুলি কবজা করেছিল। কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের পর ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার বিজেপি–র দখলে যাওয়া পঞ্চায়েতগুলি আবার তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছে। একইভাবে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ জনই বিজেপির চাপে পড়ে তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এদিন আবার সবাই তৃণমূলে ফিরেছেন।