বাংলার বিধানসভার ইতিহাসে ঘটল নজিরবিহীন ঘটনা। রাজভবন থেকে বিল ‘আটক’ দেওয়ার কারণে দু’দিনের জন্য স্থগিত হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশ। জানা গিয়েছে, বিধানসভা থেকে বেশ কয়েকটি পাশ হয়ে রাজভবনে গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে। কিন্তু রাজভবন থেকে সেই বিল সই হয়ে আসেনি। সহজ করে বলতে গেলে, সেই বিলে সই করে পাঠাননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যার ফলে আগামীকাল ও বৃহস্পতিবার স্থগিত থাকছে বিধানসভা অধিবেশন। বিধানসভার ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে কিনা তা স্মৃতিতে আনতে পারছেন না কেউই।
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনের শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কয়েকটি বিল রাজ্যপালের সম্মতির জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। তবে সেগুলো এখনো রাজভবনের সচিবালয় থেকে ফেরৎ আসেনি। তাই আগামী দুদিন বিধানসভায় কোন কাজ নেই। তাই অধিবেশন মুলতুবি রাখা হল। ফের আগামী শুক্রবার অধিবেশন বসবে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দেওয়ার কারণে বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়া নজিরবিহীন বলে দাবি এখনকার প্রবীণ সদস্যের।
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোন দপ্তরের বিলের খসড়া আইন দপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর রাজ্যাপালের কাছে পাঠানো হয়। তাঁর প্রাথমিক সম্মতির পর তা বিধানসভার সদস্যদের মধ্যে বিলি করা হয়। তারপর বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর তা ফের রাজ্যাপালের চূড়ান্ত সম্মতির জন্য পাঠানো হয়।সূত্রের খবর রাজ্যাপালের কাছে প্রাথমিক সম্মতির জন্য দুটি বিল রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে একটি এসসি এসটি কমিশন সংক্রান্ত , অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত। ওই সূত্রের ইঙ্গিত বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিলটিতে পরিচালন পর্ষদে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার সংস্থান আছে। সে কারণেই বিল নিয়ে রাজভবন গড়িমসি করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিরোধীরা অবশ্য বিল না থাকার যুক্তিতে বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা অনেক গুলি বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যেত। বিল নেই বলে অধিবেশন মুলতুবি রাখার কোন দরকার ছিল না।