অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্র। আগে এই খাতে কেন্দ্র ৯০ শতাংশ অর্থ দিত। রাজ্য দিত ১০ শতাংশ। এখন সেটা কমিয়ে দিয়ে ৪০ শতাংশ করেছে কেন্দ্র। রাজ্য দিচ্ছে ৬০ শতাংশ। বিধানসভায় একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আগে যোজনা কমিশন ছিল। কথা বলার একটা জায়গা ছিল। এখন যোজনা কমিশন নেই। কেন্দ্রেরও কোনও চিন্তা ভাবনা নেই। তবে আমরা সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি। তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য আইসিডিএস প্রকল্পে যেসব সংরক্ষিত পদ রয়েছে সেগুলি পূরণ করা হবে। এ ব্যাপারে বিডিও অফিসে অলচিকি হরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে’।
প্রশ্নোত্তর পর্বে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, রাজ্যে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার কমাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করেন। তার ফলও হাতেনাতে মিলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আগে যেখানে ৩৪ শতাংশ শিশু রাজ্যে অপুষ্টির শিকার ছিল, তা এখন আট শতাংশে নেমে এসেছে। রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। মোট কর্মীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৮ হাজার। আরও কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার জন্য কর্মী নিয়োগে কিছু সমস্যা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীও এদিন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা’র মহিলা কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেন।