মধ্যবিত্ত বাঙালি বাজারে গিয়ে এখন আর পেঁয়াজ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারছেন না। আগে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল আসত এখন আসে পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার রেশন দোকানগুলিতে মাথাপিছু ১ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়ার ভাবনা করছে মমতা সরকার।
রেশন দোকানের মাধ্যমে মাথাপিছু এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রির পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই পরিমাণ কী হবে, তা নির্ভর করছে জোগানের উপর। প্রথম দফায় মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএমটিসি। রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১২ ডিসেম্বর সেই পেঁয়াজ মুম্বই হয়ে কলকাতা পৌঁছনোর কথা। তার পর রেশন দোকান, সমবায় সমিতি এবং সুফল বাংলার বিপণির মাধ্যমে তা বিক্রি শুরু হবে।
কোন দামে মিলবে সেই পেঁয়াজ? মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি বিষয়ক উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানান, কলকাতায় পৌঁছনোর পরে পেঁয়াজের দাম দেখে ঠিক করা হবে বিক্রয়মূল্য। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার কোনও ভর্তুকি দেবে কি না, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের হিসাবে, কলকাতায় পৌঁছনোর পর ওই পেঁয়াজের দাম দাঁড়াবে ৬০-৬২ টাকা। সরকারি ভর্তুকি না-মিললে বাজারে তার দর হবে কেজি প্রতি ৭০-৭২ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে রাজ্য। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, প্রথম ধাপে কলকাতার ৯৮৪টি রেশন দোকানের মাধ্যমে তা বিক্রি হবে। প্রতিটি রেশন দোকানকে দেওয়া হবে ৫ কুইন্টাল। এ জন্য প্রয়োজন হবে ৫০০ টন পিঁয়াজ। রেশন দোকান থেকে মিলবে কতটা? কৃষি বিপণন দপ্তরের বক্তব্য, সুফল বাংলার মাধ্যমে মাথাপিছু ১ কেজি করে পিঁয়াজ দেওয়া হয়। চাহিদা খুব বেড়ে গেলে তা কমিয়ে প্রত্যেকের জন্য ৫০০ গ্রাম করা হয়।
উল্লেখ্য, এখনও বেলাগাম পেঁয়াজের দাম। মঙ্গলবার শহরের খুচরো দোকানগুলিতে কেজি প্রতি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা ছুঁয়েছিল। রবিবার শহরে তা বিকিয়েছে ৮০-৯০ টাকায়। পরে ফের দাম বাড়ে।