এইডস নির্মূল করতে ভাল কাজ করেছে বাংলা। ভারতের মধ্যে এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে। বিশ্ব এইডস দিবসে সরকারের সাফল্যের কথা জানিয়ে এমনই টুইট করয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকারের যে বিশেষ প্রকল্পগুলি রয়েছে, তার মাধ্যমেই এইডস দমনে যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরও এই প্রকল্প রূপায়ণে বাংলা সেরা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মমতা। এদিনের ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলার মোট ১৬.৫ লক্ষ গর্ভবতী মাকে রাজ্য এই প্রিভেনশন অব প্যারেন্ট টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন অব এইচআইভি (পিপিটিসিটি) প্রকল্পের আওতায় এনেছে। পরীক্ষায় এইচআইভি ধরা পড়লে মা ও সন্তানের বিনা পয়সায় চিকিৎসাও করছে রাজ্য।
এইডস বা এইচআইভি পজিটিভ মূলত যৌন রোগ। গর্ভসঞ্চারের ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরেও। তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা যদি এইডস আক্রান্ত হন, তাঁর দিকে বিশেষ নজর দিতেই হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, চিকিৎসা পরিকাঠামোয় অনেক উন্নতি হয়েছে। সকলের কাছে সহজে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে আলাদা আলাদা প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। যার আওতায় রয়েছেন গর্ভবতী মহিলা, সদ্যোজাত শিশুরা। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষ মহিলা পরিষেবা পান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে এই পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, এই মহিলাদের শরীর থেকে যাতে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে এইডস সংক্রমিত না হয়, সেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ফলে সুরক্ষিত রাখা গিয়েছে বহু সদ্যোজাতকে। এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্ত মা, শিশুর চিকিৎসা হয়।
প্রিভেনশন অফ পেরেন্ট টু চাইল্ড ট্রান্সমিশন অফ এইচআইভি – এই প্রকল্পে কোন রাজ্য কেমন কাজ করেছে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল ন্যাকো। তাতেই দেখা গিয়েছে, বঙ্গের কাজ অনেক ভাল। মায়ের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে সংক্রমণ আটকাতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। যাতে উপকৃত হয়েছেন বহু মহিলা, শিশু। এই ভূমিকার জন্য ন্যাকো-র তরফে বাংলাকে সেরা ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই সাফল্যের কথাই টুইটারে ফের তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর সঙ্গে এই সাফল্য তিনি ভাগ করে নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর মতে, এভাবেই বাংলা দেশকে পথ দেখিয়েছে। যদি অন্যান্য রাজ্যও এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমবে এবং তা নির্মূলও সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।