খুব পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল হায়দ্রাবাদের পশু-চিকিৎসককে। সেই খুনের কিনারা করতে গিয়ে সামনে এসেছে পরিকল্পনার কথা। শনিবার সেই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিল হায়দ্রাবাদ পুলিশ। সেখানে পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর পরও লরির কেবিনে নিয়ে গিয়ে ২৭ বছরের তরুণীকে চার অভিযুক্তরা একে একে ধর্ষণ করে। এমনকি মৃত্যুর পরও গণধর্ষণ করেছিল অভিযুক্তরা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মহম্মদ আলিয়াস আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চেন্নাকেশাভুলু- এই চার অভিযুক্ত জোর করে টেনে হিঁচরে তাঁকে কেবিনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে জোর করে নরম পানীয়ের মধ্যে হুইস্কি মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। তারপর মাথায় জোরে আঘাত করে গণধর্ষণ করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাটি ১ ঘন্টার মধ্যে ঘটিয়েছে ওই চারজন।
আরও জানিয়েছে, তরুণীকে খুন করার পরও লরির কেবিনে নিয়ে এসে ফের গণধর্ষণ করে একে একে। কেবিনের তারা সিদ্ধান্ত নেয় একজন গাড়ি আনতে যাবে ও নির্যাতিতার জামাকাপড় আনবে। এরপর তারা গাড়ি করে সাধনগরের কাছে জাতীয় সড়কে চলে আসে অন্ধকার জয়াগায় খোঁজার জন্য। সাধনগরের ছাটানপল্লির একটি কালভার্টের তলায় দেহটিকে কম্বলে জড়িয়ে পেট্রল ছড়িয়ে দেয়। তারপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তরুণীকে যাতে চিন্তিত করতে না পারে, তারজন্যই পুড়িয়ে দেওয়া হয়।