‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বাংলার নানা প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা। মানুষের সমস্যার সমাধানে, মানুষের পাশে আরও বেশি করে দাঁড়াতে এবার গ্রামে গ্রামে ঘোরা ও মানুষের সমস্যার কথা জানতে এবার প্রচার সেরে রাত্রিবাস করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। জেলার রাজনৈতিক মহলের দাবি, দলের ভিত আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই সরকারি প্রকল্পের সুফল যতভাবে সম্ভব মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবেই এইসব কর্মসূচি।
মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের সমস্যা শোনা, সমাধান করা, পরামর্শ গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিরূপণ করাই মমতার সরকারের লক্ষ্য। মূলত এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই ‘জেলাশাসক বিজয় ভারতীর’ নেতৃত্বে এই নিশিযাপন কর্মসূচির সূচনা হবে আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর। কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে সরকারি প্রকল্প দেখবেন আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার ব্লক খণ্ডঘোষ থেকেই এই জেলাশাসকদের নিশিযাপন কর্মসূচির সূচনা হবে।
শম্পাদেবী বলেন, “মানুষ সরকারি সুযোগ–সুবিধা কতটা পেলেন, আগামিদিনে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, সরকারি প্রকল্পের কাজ কীভাবে চলছে, সেগুলি সরেজমিনে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে”।
দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সমস্যার কথা জানতে জেলা জুড়ে ঘুরছেন তৃণমূলের নেতারা। তাতে দলের ভিত অনেকটাই মজবুত হয়েছে। সামনের বছরের শুরুতেই পুরসভা নির্বাচন তার আগে প্রচারে, ও মানুষের সমস্যার সমাফহানে কোমর বেধে নামছে তৃণমূল। জেলার রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এতে দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও জোরদার হবে।
এমনিতেই ‘নিশিযাপনে’ জেলাশাসকের সঙ্গে রাত জাগবেন বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক, জেলা পরিষদ–সহ পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের প্রতিনিধিরা। গ্রামের সাধারণের বসার কোনও জায়গায় ঢালাও সতরঞ্চি বিছিয়ে আমজনতার সঙ্গে একাসনে বসে সংশ্লিষ্ট গ্রামের নানান সমস্যার হাল–হকিকত, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের পরিষেবা কতটা গ্রামে পৌঁছেছে, পরিষেবা প্রদানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা কতটা কাজ করেছেন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে।