বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখে গেলেও, কোনও রকম আর্থিক সাহায্য করেনি কেন্দ্রীয় সরকার৷ সোমবার বিধানসভায় কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুলবুলে ক্ষতির পরিমাণ ঠিক হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বুলবুল নিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র৷ রাজ্যে ঘুরে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধদল৷ ক্ষতির পরিমাণ ঠিক হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা৷ তারপরও সাহায্য মেলেনি৷ প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছিলেন৷ দেখা যাক কী হয়৷ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বিশেষ কিট৷ ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷’
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দু’দলে ভাগ হয়ে তারা যায় দুই ২৪ পরগনায়। কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা কথাও বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধদলকে রিপোর্টে জানায় রাজ্য৷ রিপোর্টে নবান্ন জানায়, বুলবুলে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ প্রায় ৫ লক্ষ ১৮ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত৷ প্রায় ১৫ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ বিদ্যুত্ সংক্রান্ত ক্ষতির পরিমাণ ৫৯৭ কোটি টাকা৷ সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷
হেলিকপ্টারে উত্তর ২৪ পরগনার দিকে রওনা দেয় চারজনের প্রতিনিধি দল। আকাশপথে পরিদর্শন করেন সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালি। মুখ্যমন্ত্রী যে কপ্টারে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, সেই কপ্টারটিই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেয় রাজ্য সরকার। বসিরহাটের মেরুদণ্ডীতে কপ্টার থেকে নামেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মহকুমাশাসকের অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে গাড়িতে যান হাসনাবাদের বরুণহাটে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন।