এই সিজনে একের পর এক ম্যাচ জিতে আইএসএলে লিগ তালিকার শীর্ষে এটিকে। আর অন্যদিকে মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে সদ্য জুড়েছে বিশ্বখ্যাত ম্যাঞ্চেস্টার সিটির নাম। তাই আত্মবিশ্বাসে যেন টগবগ করে ফুটছেন ফুটবলাররা। কি আইএসএলে এই দুই দলই একে অপরের মুখোমুখি হলো। আর এমন দুই দল যখন মুখোমুখি হবে, তখন টক্কর যে মারকাটারি হবে, তা বলাই বাহুল্য। হলও তাই। একগুচ্ছ চোট, বচসার মধ্যে চার-চারটে গোল উপভোগ করল ভরা যুবভারতী। আর শেষ মুহূর্তে রয় কৃষ্ণের গোলে নাটকীয়ভাবে ড্র দিয়ে শেষ হল ম্যাচ। পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটা হার। এদিন এক পয়েন্ট ঘরে তুলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সেই শীর্ষস্থানই ধরে রাখলেন হাবাসের ছেলেরা।
আইএসএলের উদ্বোধনী মরশুমে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন হাবাস। অর্ধেক ম্যাচ ড্র করা সত্ত্বেও। তাই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোনও কারণে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হলেও অন্তত এক পয়েন্ট চাই-ই-চাই। এই লক্ষ্যেই খেলতে নেমেছিলেন এডু গার্সিয়ারা। চোটের জন্য ছিলেন না প্রণয় হালদার। ছিলেন না স্টপার জন জনসনও। ফলে রক্ষণ নিয়ে সামান্য চিন্তাতেই ছিলেন এটিকে কোচ। তবে ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার জুটির উপর সম্পূর্ণ ভরসা ছিল। নিরাশ হতে হয়নি। প্রথমেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুসাইরাজ।
দ্বিতীয়ার্ধে এটিকের জালে বল জড়িয়ে নজর কাড়েন বাঙালি তারকা প্রতীক চৌধুরি। একসময় যখন মনে হচ্ছে ১-১ -এই ম্যাচে ইতি ঘটতে চলেছে, ঠিক তখনই দুর্দান্ত গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দেন অ্যাবিউ। যুবভারতীতে এটিকের প্রথম হার দেখতেই যেন মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন দর্শকরা। তবে রয় কৃষ্ণর গোলে শেষ মুহূর্তে ইনজুরি টাইমে নীরব স্টেডিয়াম উত্তেজনায় ফেটে পড়ে। নাটকীয়ভাবে হার আটকে নায়ক হয়ে ওঠেন রয় কৃষ্ণ।