বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তেলেঙ্গানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি। হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মন্তব্য করতে গিয়ে বলে বসেন, ‘ওই পশু চিকিৎসক বোনকে ফোন না করে যদি পুলিশে ফোন করতেন, তাহলে তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন।’ আর তারপরই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি উঠেছে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।
মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করাতে গিয়ে বুধবার রাতে কী ভাবে তাঁদের এ-থানা থেকে ও-থানায় ঘুরতে হয়েছিল, তা আজ জানিয়েছে নিহত তরুণীর পরিবার। বাবার কথায়, ‘‘রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেয়ের ফোন বন্ধ দেখে ভেবেছিলাম, চার্জ ফুরিয়ে গিয়েছে হয়তো। ১০টা বাজতেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। টোল প্লাজায় গিয়ে তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেয়েকে না-পেয়ে কাছের একটি থানায় যাই। তার পর আরও একটি থানায়। দু’জন কনস্টেবলকে বলেও লাভ হয়নি। কেউ ডায়েরি নেয়নি।’’ কোনও থানাই ডায়েরি নিচ্ছে না-দেখে ফের তিনি রাস্তায়-রাস্তায় মেয়েকে খুঁজতে থাকেন বলে দাবি বাবার।
পাশাপাশি, অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবিতে আজ হায়দরাবাদের রাস্তায় নামেন ধর্ষিতার আত্মীয়, পরিজন-সহ বহু সাধারণ মানুষ। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। শাদনগরের বেশ কয়েকটি মহিলা সংগঠন আজ এলাকায় মোমবাতি মিছিল করে। রাজধানীতে মোমবাতি মিছিল করে কংগ্রেসের যুব মোর্চাও। তরুণীর মা জানিয়ে দেন, তিনি চান, মেয়ের ধর্ষক-খুনিদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হোক। নির্ভয়া থেকে শুরু করে হালের রাঁচী, তামিলনাড়ুর ধর্ষণ প্রসঙ্গ টেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অক্ষয় কুমার, ফারহান আখতারের মতো বলিউড তারকারা।