ভয়াবহ হোক বা হাস্যকর, বরাবরই বিভিন্ন রকম কান্ড ঘটে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু এবার যা ঘটল, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার হাল কতটা খারাপ। সেখানকার এক ইংরেজির শিক্ষিকা ইংরেজিতে কথা বলার সময় কী করবেন, নিজেই বুঝতে পারছেন না। একে তো উচ্চারণে হোঁচট খাচ্ছেন। বানান করে পড়তে গিয়েও আরও খারাপ অবস্থা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের সিকন্দরপুরের একটি সরকারি স্কুলের।
ইংরাজির শিক্ষিকা যদি ‘ইংলিশ’ বলতে গিয়ে হিমশিম খায় তাহলে কী রকম লাগে! সেখানকার ইংরাজি শিক্ষিকার এমন অবস্থা দেখে ভীষণ অবাক হন স্কুল পরিদর্শন করতে যাওয়া জেলাশাসক। তারপরই দ্রুত ওই ইংরাজি শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হওয়ার পরেই ভাইরাল হয়েছে। ওই শিক্ষিকার কাণ্ড দেখে সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও। তাঁদের অনেকের মতে, শিক্ষিকার যদি এমন দশা হয়, তাহলে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা কী হবে!
গত শুক্রবার সিকন্দরপুরের ওই সরকারি স্কুলে আচমকাই পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলাশাসক দেবেন্দ্র কুমার পান্ডে। প্রতিটা ক্লাস ঘোরার পর শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে অষ্টম শ্রেণির ঘরে যান তিনি। সেখানে তখন ক্লাস নিচ্ছিলেন স্কুলের ইংরাজির শিক্ষিকা রাজকুমারী। প্রথমে ছাত্রীদের কিছু প্রশ্ন করে নিরাশ হন জেলাশাসক। স্কুলের পাঠ্যবইয়ের প্রায় কিছুই জানা নেই তাঁদের। পড়ুয়াদের এমন দশা দেখে সোজাসুজি প্রশ্ন করতে শুরু করেন শিক্ষিকাকে। সিলেবাসের বই খুলে কয়েকটি লাইন রিডিং পড়তে বলেন শিক্ষিকাকে।
আর তখন হোঁচট খেতে খেতে পড়া শুরু করেন রাজকুমারী। মাঝে দু’একটা শব্দ বানান করেও পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, একটিও লাইন পড়ে উঠতে পারেননি। শিক্ষিকার এমন জ্ঞানের বহর দেখে রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন জেলাশাসক। অবিলম্বে শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। যেই ঘটনার ভিডিও দেখে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁরা দুষছেন শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের গাফিলতিকেই।