হাজার চেষ্টা করেও খুলছিল না ২০০ বছরের পুরোনো সিন্দুক। চারটে তালা ভেঙে গেলেও খোলা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা পর পুরো ভেঙে ফেলার পরই খোলা সম্ভব হল সিন্দুকটি। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পুরোনো সিন্দুক থেকে পাওয়া গেল ইতিহাসের দলিল। তার মধ্যে ছিল মূল্যবান নথি, মানপত্র এবং পদক।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই পুরনো ওই সিন্দুকটি নজরে এসেছিল। নতুন উপাচার্য আসার পর বিভিন্ন নথি থেকে শুরু করে জিনিস খুঁটিয়ে দেখছিলেন তিনি। তখন সিন্দুকটি নজরে আসে৷ এরপর সেটি নিয়ে আসা হয় উপাচার্যের ঘরে। শুক্রবার বাইরে থেকে লোক এনে সেটিই খোলার চেষ্টা করা হয়। শেষপর্যন্ত চার ঘণ্টার চেষ্টায় সেটি খোলা যায়।
১৮২৪ সালে লর্ড আমহার্স্টের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই সিন্দুক। নথিতে পাওয়া গেছে রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগরের সই। সিন্দুকের মধ্যে থেকে মিলেছে স্বাধীনতার আগের সময়ের প্রচুর চেকবই, রূপোর মেডেল, পদক। রয়েছে সাতটি বন্ধ খামও।
“মুক্তকেশী দেবীর উইডো ফান্ড”এর একটি কাগজ পাওয়া গিয়েছে সিন্দুকের মধ্যে থেকে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে বিদ্যাসাগর মহাশয় সেই সময় বিধবাদের দেওয়ার জন্য একটি তহবিল তৈরি করেছিলেন। তাতে ৮ টাকা করে দেওয়া হত বিধবাদের। মিলেছে প্রাপকের আঙুলের ছাপও। এছাড়া একটি পদক। সুতরাং বলাই যায়, বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে এই সিন্দুক৷