উপনির্বাচনে হারের পরই মত বদল শুরু বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা যখন ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে, তখন ‘ইভিএম-এ কারচুপি সম্ভব নয়’ বলে বিবৃতি দিয়েছে বারবার। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছেন, তখন তাঁকেও আক্রমণ করা হয়েছে মারাত্মক ভাবে। এবার উপ-নির্বাচনে হারের পরই বিজেপির সব নীতি পাল্টে গেল। এবার ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব খোদ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। আর ইভিএম-এ তো যা খুশি তাই করা যায়। ভোট গণনায় শাসকদল কারচুপি করেছেই, এমনই দাবি বিজেপি নেতার।
উল্লেখ্য, তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে ৩-০ পরাস্ত করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কালিয়াগঞ্জে ২৪১৪ ভোট জিতেছে তৃণমূল, খড়গপুর সদরে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছে বিজেপি শিবির। অন্যদিকে, করিমপুরেও ২৪ হাজারের বেশি ভোট নিয়ে সবুজ পতাকা উড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফলাফলের পরে কার্যত মুখ লোকানোর জায়গা খুঁজছে বিজেপির বঙ্গীয় নেতৃত্ব।