গোলাপি টেস্টের মাদকতা ভুলে নতুন মরশুমের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সিএবি কর্তারা। একই সঙ্গে জোর চর্চা চলছে সৌরভ গাঙ্গুলির পদত্যাগের পর সংস্থার পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে। লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে সচিব অভিষেক ডালমিয়া। তিনি হয়তো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাজের ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন। জয়ের ব্যাপারে প্রচণ্ড আশাবাদী অভিষেক। শোনা যাচ্ছে, সিএবি’র সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা স্নেহাশিসও রয়েছেন।
সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হয়ে যাওয়ায় স্নেহাশিসের বঙ্গীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার বড় পদ পেতে আর কোনও অসুবিধা নেই। অভিষেক ডালমিয়া যদি সভাপতি হন, তাহলে স্নেহাশিসকে সচিব করা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রবীর চক্রবর্তীরও নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে সৌরভ গাঙ্গুলির উপর। সিএবি’র কোনও পদে না থাকলেও বঙ্গীয় ক্রিকেটের রিমোট কন্ট্রোল কিন্তু ব-কলমে এখনও তাঁরই হাতে। সেটা তিনি গোলাপি টেস্ট আয়োজনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হল, দাদা স্নেহাশিসকে কি সভাপতি পদে সমর্থন করবেন সৌরভ?
মহারাজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ‘কেউ চাইলেই তো হবে না। সভাপতি কে হবে, সেটা ঠিক করবেন সিএবি’র সদস্যরা। যদিও আমি এখন সিএবি’তে নেই। আমার পক্ষে কিছু বলাও সম্ভব নয়।’ একই পরিবারের তিন জনকে সিএবি’র পদাধিকারী হিসাবে চাননি সৌরভ। তাঁর কাকা দেবাশিস গাঙ্গুলি বর্তমানে সিএবি’র কোষাধ্যক্ষ পদ সামলাচ্ছেন। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসার পর নিয়ম মেনে তাঁকে সিএবি’র সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছে। আইনে বলা আছে, সভাপতির পদত্যাগের পর দু’মাসের মধ্যে নির্বাচন করাতে হবে। তাই সিএবি’র সভাপতি পদে নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে।
বাইশগজের বাইরেও সমান বিচরণ মহারাজের। ক্যুইজ ভিত্তিক টেলিভিশন শো দাদাগিরি’র অ্যাঙ্কর হিসাবে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছেন সৌরভ। তাই দাদাগিরির শো’য়ের সঙ্গে সম্পর্ক এত সহজে ছিন্ন করতে চান না তিনি। বোর্ড সভাপতি হয়ে শহরে ফেরার পরেই শ্যুটিং সেরেছেন। কতদিন দাদাগিরি শো করবেন? মুচকি হেসে সৌরভের সটান জবাব, ‘বাংলার মানুষ যতদিন চাইবেন।’