ইকোনমিক স্লো-ডাউন’। এই শব্দটা বারবার উঠে আসছে শিরোনামে। দেশের অর্থনীতির হাল খারাপ, এই বলে দেশ জুড়ে চিৎকার করছেন বিরোধীরা। বুধবার তারই ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। সামনে যখন এইসব গুরুতর আলোচনা চলছে, পিছনে তখন নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছেন মন্ত্রী। চোখে চশমা, মুখটা হাঁ। কিছুক্ষণ পর তাঁকে পিছন থেকে ডাকা হল। তারপর তিনি উঠে তাকালেন। মন্ত্রীর এই কীর্তিতে আরও একবার হাসির খোরাক হল বিজেপি।
অর্থনীতির ঝিমুনি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এ-হেন জবাব শুনতে শুনতেই ঝিমুনি ধরেছিল মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের। মোদী সরকারের নতুন কর্মদক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রী। যাঁর কাঁধে দেশের তরুণদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব। বিরোধীরা বলছেন যার কাঁধে এরকম গুরু দায়িত্ব তিনি ঝিমোলে দেশের কর্মদক্ষতার হাল এরকমই হবে তা বলাই বাহুল্য।
বিরোধীদের আরও কটাক্ষ, সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, মোদী জমানায় চাকরির সুযোগ কমছে। ফলে কাজে উৎসাহ হারিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কি আর গোপন থাকে সেসব কথা! টিভি থেকে সেই ছবি তুলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ট্যুইটারে। ব্যাস, আর আটকায় কে? উল্কাগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সেই ছবি।
চলতি বছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন। অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাই মনে করছেন, জুলাই-সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে নেমে আসবে। আজ বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, গ্রামের মানুষের হাতে টাকা নেই। বাজারে চাহিদা নেই বলেই নতুন লগ্নি আসছে না। কিন্তু কেন্দ্র অর্থনীতির অসুখই মানতে চাইছে না। দাওয়াই দূর অস্ত্। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে যাননি নির্মলা। প্রতিবাদে কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল ‘ওয়াক আউট’ করে।