ফের নাথুরাম গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলায় শাস্তির মুখে পড়তে হল মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। সংসদে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল বিরোধীরা। চাপের মুখে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে প্রতিরক্ষা কমিটি থেকে। এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে বিজেপি।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য করা হয়েছিল প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে। গডসে নিয়ে মন্তব্য করায় বৃহস্পতিবার সেই পদ থেকেও তাঁকে অপসারিত করার প্রস্তাব করেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির সংসদীয় বৈঠকেও যোগ দেবেন না ঠাকুর।’
এর আগে, ভোটের প্রচারে একই মন্তব্য করেছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষে এসিপিজি বিল নিয়ে আলোচনার সময় তিনি ফের বলেন, ‘নাথুরাম গডসে এক জন দেশভক্ত।’ অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী এক জন দেশপ্রেমিক। এ কথা শুনে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। কংগ্রেস বলে, অত্যন্ত নিন্দনীয় মন্তব্য। দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান বিজেপি সাংসদরা। এমনকি স্পিকার তাঁর এই কথা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার লোকসভায় এসপিজি বিল বিতর্কের সময় বলতে ওঠেন ডিএমকে-র এ রাজা। তিনি গডসের একটা মন্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘গডসে কেন গান্ধীকে হত্যা করেছিল, তা সে নিজেই বলে গেছে।’ তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই থামিয়ে দেন প্রজ্ঞা। বলেন, ‘আপনি এক জন দেশভক্তের উদাহরণ এ ক্ষেত্রে দিতে পারেন না।’ রাজা পাল্টা বলেন,‘গডসে নিজেই বলেছে তার গান্ধীর উপর রাগ ছিল। সেই রাগ সে ৩২ বছর ধরে পুষে রেখেছিল। গডসে গান্ধীকে হত্যা করেছিল, কারণ গডসে একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের সমর্থক।’
এতে দু’পক্ষে প্রবল তর্ক বেধে যায়। বিরোধীরা প্রজ্ঞার তীব্র নিন্দা করতে থাকেন। এই সময় কিছু বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞাকে বসে পড়তে বলেন। অবশেষে তিনি রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন। পরে জানান, তিনি এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার জবাব দেবেন। হুমকির সুরে বলেন, ‘কী বলেছি ভালো করে শুনুন। আমি উধম সিংকে দেশপ্রেমিক বলেছি।’ তবে প্রজ্ঞা ‘কী বলেছেন’ তা টিভির দৌলতে সকলেই জেনে গেছেন তত ক্ষণে।