প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন, কেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বাংলায় হচ্ছে না। এই নিয়ে জাতীয় স্তরে আন্দোলনও শুরু করেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় যুক্ত হল বাংলা। তবে ২০২০-তে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা না হলেও, ২০২১-এ বাংলা ভাষা যুক্ত হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে।
কিছুদিন আগেই জানা যায় যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে আঞ্চলিক ভাষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে গুজরাতিকে। আর তা শুনে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, যে বাংলার তরফ থেকে আবেদনই জানানো হয়নি। তাই বাংলা ভাষায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেনি কেন্দ্র।
এরপর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এনটিএ-কে বাংলা ভাষা যুক্ত করার আবেদন জানায়। এরপর কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রক জানাল যে, ১১টি ভাষায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২০২০-র প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই, ২০২১ থেকে ১১টি ভাষায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর তাতে যুক্ত হয়েছে বাংলা। এছাড়া রয়েছে অসমিয়া, ইংরেজি, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি, ওড়িয়া, তামিল, তেলেগু ও উর্দু।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে গুজরাতি ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাগুলি কেন ব্রাত্য, এই নিয়েই কয়েকদিন আগে তৃণমূল ভবনে অন্যান্য সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকেও বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘অন্য ভাষাতেও জয়েন্টের প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। আমার গুজরাতি ভাষায় কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য ভাষাগুলি ব্রাত্য থাকবে কেন? বাংলাসহ অন্যান্য ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স।’ এমনকি কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হওয়া প্রবল বিতর্কের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সমাধান না হলে ব্যাপক প্রতিবাদ হবে। আর তারপরেই মত পাল্টাতে বাধ্য হল কেন্দ্র।