দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অধরা থাকা কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর আজ ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। দিলীপের গড় থেকে লোকসভায় সেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল গেরুয়া শিবির, মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই মমতার উন্নয়নে ভর করে সেই বিশাল ব্যবধান মুছে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি, করিমপুরেও নিজেদের জয়ী আসন ধরে রেখেছে তারা। অর্থাৎ উপনির্বাচনে বাংলার তিন আসনেই ডাহা ফেল বিজেপি। যার ফলে লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টি আসনে উজ্জ্বল হয়েছিল যে দিলীপ ঘোষের মুখ, তা-ই এবার অস্বস্তির কালো মেঘে ঢেকে গেল!
স্বাভাবিক ভাবেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এখন এই প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে কি এবার ইস্তফা দেবেন দিলীপ? টেলিফোন মারফত এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি রাজনীতির জন্য জন্মেছি বলে মনে করি না। যা হয়েছে দলের নির্দেশে হয়েছে। দল যা বলেছে, তাই করেছি। এখনও যা বলবে তাই করব। আমি দলের অনুগত কর্মী।’ তবে কি দল বললে তিনি পদত্যাগ করতেও তৈরি? দিলীপের জবাব, ‘দল যখন যা নির্দেশ দিয়েছে তা পালন করেছি। তিনটি আসনে উপনির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য দলে তেমন কোনও নির্দেশ দেবে কিনা জানি না তবে যা নির্দেশ দেবে তাই মেনে নেব।’
তাঁর কাছে এমন ফলের কারণ জানতে চাইলে দিলীপ বলেন, এনআরসি ইস্যু থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতা– অনেক কিছুই কারণ হয়ে থাকতে পারে। সেটা বিশ্লেষণ না করে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে এর পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান যে, এমন ফল আশা করেননি তিনি। দিলীপের কথায়, ‘নির্বাচনী প্রচারে কর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা ছিল, সভা-সমাবেশে যে আগ্রহ দেখা গেছে তার সঙ্গে ভোটের ফল মিলছে না।’ উল্লেখ্য, বাকি দুই কেন্দ্রের কথা বাদ দিলেও খড়গপুরে বিজেপির হারকে বস্তুত দিলীপের ব্যক্তিগত হারই বলা যায়। কারণ, ষোলোর ভোটে এই কেন্দ্র থেকেই জিতে বিধানসভা গিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, লোকসভা ভোটেও খড়গপুরে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তাই এই জেতা আসন হারানোয় দিলীপকে কী শাস্তি দেয় দল, সেটাই এখন দেখার।