গত ২৪ অগস্ট বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন এই ছাত্রী। তিনি বারবারই দাবি করেছেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেছেন। তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে দিনের পর দিন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। ছাত্রীর অভিযোগ, প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে চিন্ময়ানন্দের ধর্ষণের শিকার তিনি। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক। এবার তাঁকে বসতে দেওয়া হল না পরীক্ষায়। অভিযোগ জানানোর মাশুল গুনলেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।
বরেলির মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে রোহিলখণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে ওই ছাত্রীর নাকি ৭৫% উপস্থিতি ছিল না।
সোমবার অবশ্য কড়া সতর্কতার মধ্যে তাঁর প্রথম সেমিস্টারের ব্যাক পেপারের পরীক্ষায় বসেছিলেন তরুণী। কিন্তু তার পরের দিন আর পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা তরুণী দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ভয় দেখিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ রাখা হয়েছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে চিন্ময়ানন্দর আইনজীবী পাল্টা অভিযোগ এনেছিলেন, ওই ছাত্রী পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন চিন্ময়ানন্দকে। সেই অভিযোগে ছাত্রীকে গ্রেফতার করে সিট। গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ানন্দকেও। সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। শাহজাহানপুরের জেলেই বন্দি রয়েছেন ২৩ বছরের তরুণী।