তখনও সরকার ফেলে দেননি ফডনবিশ। সুপ্রিমকোর্টের রায়ে সবে সবে ঘোর বিপাকে পড়েছে বিজেপি। এমন সময়েই বিজেপির অবস্থানকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ প্রশ্ন তুললেন, রাজ্যপাল পদের কি আদৌ কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে?
তৃণমূলের সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা সুদীপ মনে করছেন বর্তমানে রাজ্যপাল পদটির প্রয়োজনীয়তাই নেই। জনগণের করের টাকায় ‘সাদা হাতি’ পোষার দিন ফুরিয়েছে। শনিবার ভোরে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পালাবদলের ঘটনা এবং মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার চূড়ান্ত রায়ে বুধবার শক্তিপরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করা প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন, ‘মোদীর আমলে রাজ্যপাল পদটির যেভাবে অপব্যবহার করা হয়ে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে মহারাষ্ট্রে। আদালতের রায়ে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি যা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একইরকম আচরণ করে চলেছেন। যে কোনও গণতান্ত্রিক দল এর প্রতিবাদ করবে। আমরা সংসদের ভেতরে ও বাইরে প্রতিবাদ করছি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, রাজ্যপাল পদটি এবার তুলে দেওয়া উচিত।’
গতকাল ফডনবিশ-পাওয়ার পদত্যাগ করার পর বিরোধী শিবির থেকে আক্রমণ ধেয়ে এসেছে। শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ন্ত অমিত মোদী-শাহের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখেননি মোদীরা। উল্টে শিবসেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচা করে বেআইনিভাবে সরকার গড়ার চেষ্টা হয়েছিল। যা ভেস্তে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, ‘সংবিধান দিবসে মহারাষ্ট্রের মানুষ সবচেয়ে বড় উপহার পেয়েছেন। রাজনীতির উর্ধ্বে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক নৈতিকতা প্রাধান্য পেয়েছে।’
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা মোদী-শাহকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের তামাশা কেন হচ্ছে? রাজ্যপালকে কাঠের পুতুলের মতো ব্যবহার করা হল কেন? রাষ্ট্রপতি পদের গরিমায় আঘাত হানা হল কেন? মন্ত্রিসভাকে পঙ্গু করা হল কেন? সংখ্যালঘু সরকার হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার নাটক কেন? দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করা হল কেন? সংবিধানকে ধূলিসাৎ করা হল কেন?