লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই রক্তাক্ত হয়েছিল উপত্যকা। পুলওয়ামা বিস্ফোরণে ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিলেন সকলে। তারপরে সফল এয়ারস্ট্রাইক ঘটানোর দাবিও করেছিল কেন্দ্র এমনকি কমিশনের বারণ সত্ত্বেও ভোট প্রচারে তুলে এনেছিল বালাকোট ইস্যুকে। কিন্তু কোথায় গেল এত বড়াই? সন্ত্রাসবাদের ওপর এয়ার স্ট্রাইকই সার। ফেব্রুয়ারি মাসে বালাকোটে বোমারু বিমান হামলার কয়েক ৯ মাসের মধ্যেই ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একই অংশে গজিয়ে উঠল জঙ্গী প্রশিক্ষণ শিবির। বুধবারই রাজ্যসভায় এই তথ্য স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জবাব দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গী ক্যাম্প ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে সীমান্ত বরাবর। গোয়েন্দা সূত্রে এরকমই খবর এসেছে ভারতে। লিখিত জবাবে আরও বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে জইশ নিজের জিহাদি শিক্ষার মঞ্চ নতুন কর গড়ে তা সক্রিয় করার চেষ্টা করছে।
লোকসভা ভোটের মাসদুয়েক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বালাকোটের জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এতে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা অবশ্য আজ অব্দি স্পষ্ট হয়নি। তাই নতুন করে এই জঙ্গী শিবির গজিয়ে ওঠা যে আদতে কেন্দ্রের ব্যর্থতার দিকেই ইঙ্গিত করছে তা বলাই বাহুল্য। কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।