বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জেএমবি-এর শীর্ষ নেতা সোহেল মেহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দিল ঢাকার আদালত। শীর্ষ ওই জঙ্গী নেতা ঢাকায় হোলি আর্টিজান কাফে হামলারও মূল চক্রী ছিল। বাংলাদেশের কাফেতে হামলার ঘটনায় সোহেল মেহফুজ-সহ মোট ৭ জনকে বুধবার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডিতদের মধ্যে সোহেল বাদে আছে জাহাঙ্গির হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, রকিবুল হাসান রেগান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ওরফে খালিদ এবং মামুনুর রশিদ রিপন।
এদিন বেলা ১২ টার সময় পুলিশ কাশিমপুর জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড শোনানোর পরে সাতজন কোনওরকম অনুতাপ প্রকাশ করেনি। বরং তারা চেঁচিয়ে বলে, আমরা ঠিকই করেছিলাম।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হোলি আর্টিজান বেকারি নামে এক হোটেলে হানা দেয় জামায়েতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের পাঁচ জঙ্গি। ২০ জন নিহত হন। বুধবার সেই মামলায় রায় দিলেন বাংলাদেশের স্পেশ্যাল সন্ত্রাসদমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবর রহমান। সাত জঙ্গিকে তিনি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
ওই হামলা চালিয়েছিল বাংলাদেশ এবং ভারতে সক্রিয় জঙ্গী সংগঠন জেএমবি-র আইসিসপন্থী গোষ্ঠী। হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল শীর্ষ জেএমবি নেতা হাতকাটা নাসিরুল্লা। জানা যায়, বিহারের মুঙ্গের থেকে চোরা পথে মালদহ হয়ে আমের ঝুড়িতে পাচার করা হয়েছিল হামলায় ব্যবহৃত একে-২২ রাইফেল। অস্ত্রপাচার থেকে শুরু করে গোটা পরিকল্পনাটি ছিল হাতকাটা নাসিরুল্লার। সে ২০১৪-র বর্ধমান বিস্ফোরণেরও অন্যতম পাণ্ডা।