মহারাষ্ট্রের মহাজট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরেই বিকেল নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি৷ এরপর রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা পত্র জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপরই ফডনবিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় কংগ্রেস৷ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা কে বেনুগোপাল বলেন, ‘আজকের এই ঘটনা শুধুমাত্র ফডনবিশ সরকারের ব্যর্থতাই তুলে ধরেনি, একইসঙ্গে চড় কষিয়েছে দিল্লীতে বসে থাকা তাঁদের মাস্টারদের গালে৷’ রাজনৈতিক মহলের মতে, এক্ষেত্রে নিজের মন্তব্যে তিনি নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর ডেপুটি অমিত শাহকেই বোঝাতে চেয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবিধানিক বৈঠকের পরেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন ফডনবিশ। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ফডনবিশ জানান, তাঁরা বিরোধীর ভূমিকাতেই থাকবেন। এদিন শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরেই বিজেপি শিবিরে শুরু হয় চূড়ান্ত তৎপরতা। তড়িঘড়ি নিজের বাড়িতে দলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। কিন্তু তার মধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, যারা মানুষের আদেশকে অপহরণ করার চেষ্টা করে তাঁদের আসল মুখোশ খুলে গিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, দেবেন্দ্র ফডনবিশের ক্ষমা চাওয়া উচিত মহারাষ্ট্রের মানুষের কাছে৷ কারণ তাঁদের সরকার হত মিথ্যায় ভরা একটা সরকার৷ যা তাসের ঘরের মতো ভেঙেও পড়ল৷ কংগ্রেস নেতা বেণুগোপাল আরও বলেন, এটা গণতন্ত্রের জয়৷ বিজেপি ভেবেছিল তাঁরা ঘোড়া কেনাবেচা করে সব হাসিল করে নেবে, তবে এমনটা হয়নি৷ বরং ব্যর্থ হয়েছে ফডনবিশ সরকার৷