১৯ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত হয় আসামের এনআরসি তালিকা। কিন্তু এই তালিকায় খুশি নন খোদ বিজেপি নেতারা। তাই ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের বদলে ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর করে নতুন করে এনআরসি করা হোক বলে দাবি বিজেপির তাবড় নেতাদের।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জানিয়েছেন, গোটা দেশের সঙ্গে নতুন করে এনআরসি হবে আসামে। এরপরই বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব দাবি তোলেন, ৫১ সালকে ভিত্তি বছর ধরে ফের আসামে এনআরসি তালিকা তৈরি করতে হবে। কিন্তু মোদী সরকারের এই তুঘলকি নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন সকলেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) বা এনআরসি নিয়ে শিলাদিত্য কেন, অমিত শাহ–র বক্তব্যকেও গুরুত্ব দিতে নারাজ অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেন, “দেশের বেহাল অর্থনীতির কারণে আর্থিক দুর্দশা থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এনআরসি আর ক্যাব নিয়ে নাটক করছে বিজেপি”।
শুধু এনআরসি নাটক করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না মোদী সরকার৷ কখনও গ্যাসের ভর্তুকি কমানো, কখনও বেসরকারিকরণ, কিংবা স্থায়ী নয় চুক্তি ভিত্তিক চাকরির বিল সংসদে পেশ করার কথা বলছেন। আর ধর্ম নিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টিতে মোদীর জুড়ি মেলা ভার।
এনআরসি ইস্যুতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, “সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হয়েছে এনআরসি তালিকা। প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে গোটা প্রক্রিয়ায়। তাই নতুন করে এনআরসি তালিকা তৈরি অযৌক্তিক”। গগৈয়ের পাশাপাশি বদরুদ্দিন আজমলও এনআরসি বাতিল করা নিয়ে বিজেপি সরকারের মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন। এআইইউডিএফ সাংসদ আজমলের আশঙ্কা, গোটা দেশের সঙ্গে অসমেরও সমস্ত মুসলিমকেই বিদেশি বানাতে নতুন করে ছক কষা হচ্ছে। গোটা দেশেই মুসলিমদের নাগরিকত্ব হরণ করতে চায় বিজেপি। তাই মুসলিমদের ঘুসপেটিয়া প্রমাণ করতেই নতুন করে এনআরসি আনার কথা বলছেন অমিত শাহরা।