চলতি বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে৷ অন্যদিকে আজ সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনও হয় বাংলার বিধানসভায়।
আজ সুপ্রিমকোর্ট মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে মহাজটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বুধবার মহারাষ্টের সরকার গঠনের জন্য সংখ্যার পরীক্ষা দিতে হবে ফডনবিশদের৷ উল্লেখ্য গত শনিবার কাকভোরে সংখ্যার পরোয়া না করেই রাজ্যপালের সহায়তায় মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে ফেলে বিজেপি৷ তাদের সমর্থন করে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার৷ এই আচমকা সরকার গঠন অগণতান্ত্রিক বলে শীর্ষ আদালতে মামলা ঠোকে কংগ্রেস, শিবসেনা- এনসিপি জোট৷ অন্যদিকে অজিত পাওয়ার এনসিপির বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠনের দবি জানান৷ দেবেন্দ্র ফডনবিশ মুখ্যমন্ত্রী ও অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হন৷ যদিও আজ বিকেলে অজিত উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে এবং ফডনবিশ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি এইভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে৷ এই অভিযোগে সংসদের দুই কক্ষে ও বাইরে কংগ্রেস এই মর্মে বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ বিক্ষোভে সামিল ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ শীর্ষ নেতা- নেত্রী ও সাংসদরা৷ বুধবার তারই রেশ ধের সংবিধান দিবসের দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনা করলেন৷ তাঁর সাফ কথা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের সংবিধান একেবারেই সুরক্ষিত নেই৷ মহারাষ্ট্র ঘটনা তার হাতে গরম প্রমাণ বলেই মনে করেন তিনি৷ মনমোহনের আমলে দেশ দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছিল৷ বর্তমান বার বার বিভিন্ন ভাষণে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী৷
মনমোহল সিং মনে করেন সংবিধানকে সম্মান জানান না মোদী ও তাঁর দল৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কংগ্রেসকে দুর্নীতিপরায়ন দল যারা বলে তারাই আবার এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত পাওয়াররে ৭০ হাজার কোটির দুর্নীতির মামলায় রাতরাতি তাঁকে নির্দোষ হিসাবে ঘোষণা করেছিল ৯০ ঘন্টার ফডনবিশ সরকার৷ মনমোহনের বক্তব্য, এর থেকেই বোঝা যায় কারা সংবিধান মানে আর কারা এর অপমান করে৷