মহারাষ্ট্রের ‘মহা’ নাটকের যবনিকা পতন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজনীতি যে সবচেয়ে বড় রঙ্গমঞ্চ, তা আবারও প্রমাণ দিল মহারাষ্ট্র। একা অজিতের পাল বদলের জেরে সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। আর কার্যত সেই টানাপোড়েনে কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে অন্যতম ভূমিকা নিলেন সেই অজিতই। উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সকালেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই হাতে ম্যাজিক ফিগার না থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। তিনি রাজ্যপাল কোশিয়ারির কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন৷ তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন৷
এর জেরেই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক কালিদাস কোলাম্বকরকে প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করেন৷ কাল সকাল ৮টায় নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবেশন৷ অধিবেশনের শুরুতে নতুন বিধায়করা শপথ নেবেন৷ উল্লেখ্য সকালেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, কাল আস্থা ভোট৷ সেই আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার আগেই রণেভঙ্গ দেন ফড়নবীশ৷ আপাতত পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শপথ না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কেয়ার টেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার সামলাবেন৷ এদিকে ফডনবিশ বিদায় নিতে মহা-রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব নতুন চরিত্রের৷ নাম উদ্ধব ঠাকরে৷
বিজেপি সরে যেতেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন করে সামনে চলে এলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তাঁকে জোটের মুখ করেই রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিন দলের প্রতিনিধিরা। সব কিছু ঠিক ঠাক এগোলে আগামিকালই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন উদ্ধব।
তবে রাজভবনে যাওয়ার আগে তিন দলের মধ্যে এ দিন ফের এক দফা বৈঠক হবে মুম্বইয়ে। সেখানে জোটের মুখ হিসাবে উদ্ধব ঠাকরেকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে শিবসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরেই তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।