গত আগস্ট মাস থেকে বাংলায় চালু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী। মূলত বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের অভাব-অভিযোগ জানানোজ পরামর্শ দেওয়ার জন্যই এটি ছিল। তবে শহরের পুরসভার আওতায় আসা যেকোনও সমস্যার মীমাংসার জন্য তারও বহু দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে জনসাধারণ মেয়রকে কটি অভিযোগ জানিয়েছেন এবং তার কতগুলো মীমাংসা হয়েছে, এবার তারই খতিয়ান দিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই।
অন্যদিকে বেশ কিছু অভিযোগের মীমাংসা বাকি থেকে যাওয়ায় ওই নির্দিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাকে দ্রুত কাজ শেষ করারও নির্দেশ দেন মেয়র। তাঁর কথায়, অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। নয়ত লোকে ভাববে অপদার্থ মেয়র। তাই অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত সেই নির্দিষ্ট বিভাগকে তার নিষ্পত্তির কাজে নেমে পড়তে হবে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, শেষ সপ্তাহের টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাছে পরিষেবা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মোট ৪০ টি দাবি এসেছে, তার মধ্যে ৩৮ টির মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে এসেছে ৩১ টি দাবি, নিষ্পত্তি হয়েছে ২৬ টির। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এসেছে ১৬ টি পরিষেবা সংক্রান্ত দাবি, তার মধ্যে ৮ টির মীমাংসা হয়ে গেছে। জল সরবরাহ পরিষেবা নিয়ে আসা ১২ টির মধ্যে ১১ টির কাজ হয়ে গেছে। উদ্যান বিভাগের কাছে আসা সব কটি কাজেরই নিষ্পত্তি হয়েছে।
অন্যদিকে, বিল্ডিং বিভাগের কাছে আসা ১০৫ টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত মাত্র ২৪ টির নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি রয়ে গিয়েছে অর্ধেকের বেশি কাজ। এবিষয়ে বিল্ডিং বিভাগের কর্মকর্তা এক ইঞ্জিনিয়ারকে কিছুটা ধমকের শুরেই ভর্ৎসনা করেন মেয়র। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইঞ্জিনিয়ার কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁর নিজের কাজের যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে। কিন্ত জনগণের দয়ায় মেয়র পদ পেয়েছেন তিনি। তাই লোকে তাঁর কাছেই অভাব অভিযোগ নিয়ে ফোন করেন। আর সেই অভিযোগের মীমাংসা না হলে তাঁকেই অপদার্থ ভাববে লোকে। মানুষ ভাববে অপদার্থ মেয়রকে নির্বাচন করেছেন তাঁরা। তাই যতদিন ওই ইঞ্জিনিয়ার কর্পোরেশনের আওতায় কাজ করবেন তাঁকে কাজ করে যেতে হবে।
এছাড়াও এদিন অন্যান্য বিভাগে আসা অভিযোগের খতিয়ান দিয়ে শহরের মহানাগরিক জানান, হেরিটেজ বিভাগ সম্পর্কিত ৪২ টি অভিযোগের মধ্যে ১৮ টির নিষ্পত্তি হয়েছে। এসেসমেন্ট বিভাগের ২৪ টি অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৪ টির। বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আসা ৫ টি দাবির মধ্যে কোনটিই এখনো পর্যন্ত পূরণ হয়নি। নিকাশি বিভাগের কাছে আসা দুটি দাবির মধ্যে দুটির কাজই চলছে। লাইসেন্সে দুটির মধ্যে একটি ও বাজারের একটির কাজ চলছে।