প্রথম দিন থেকেই বাংলার মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে কর্মসূচী ‘দিদিকে বলো’। এখন চলছে ‘দিদিকে বলো’র দ্বিতীয় পর্যায়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকার নেতাদের এবার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন সেটা ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী কী কারণে নেতারা ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে যাবেন তার ব্যাখ্যা নির্দেশনামায় উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। কোন ওয়ার্ডে কত বাড়ি বা কত জনসংখ্যা তার তথ্যও নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বহরমপুর শহরের তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই শহরে দিদিকে বলো কর্মসূচী শুরু করেছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া রাজ্য থেকে যখন যা নির্দেশ আসছে সেটা করা হচ্ছে। প্রচারে বেড়িয়ে মিলছে ব্যাপক সাড়া, এমনই জানিয়েছেন নেতারা।
জানা গেছে মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডের কথা। পিকের টিম এই ওয়ার্ডের নেতাদের একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে যেতে বলেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হলেও শহরে বহু ছাত্রছাত্রীকে টিউশনি পড়ান। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর বাড়িতে নেতাদের যেতে বলা হয়েছে। তার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওয়ার্ডের বহু লোকের যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া দু’জন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও নেতাদের যাওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কারণ ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওয়ার্ডের লোকজনদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিদিকে বলো কর্মসূচী ছাড়া দলের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। জেলার নেতাদের পুরভোট পরিচালনার জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বহরমপুর শহরে এনআরসি বিরোধী বড় কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য শহরগুলিতেও একই ধরনের কর্মসূচী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বহরমপুর মহকুমার তৃণমূলের সভাপতি অরিৎ মজুমদার বলেন, উন্নয়নের স্বার্থেই মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। প্রতিটি শহরেই বহু উন্নয়ন হয়েছে। আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকি।