বাজারে গিয়েছিলেন সবজি কিনতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে এমন মারাত্মক কান্ড ঘটে যাবে, তা আর ভাবেননি কেউই। এমনটাই ঘটেছে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার সারেসকোল গ্রামে। জানা গেছে, সবজি কেনা নিয়ে বচসার জেরে সেখানে খুন হতে হয়েছে বছর পঞ্চান্নর তৃণমূল কর্মী পূর্ণেন্দু মহান্তিকে। জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে সারেঙ্গা থানার পিড়লগাড়ি মোড়ের হাটে সবজি কিনতে গিয়েছিলেন পূর্ণেন্দু মহান্তি। গ্রামেরই যুবক সবজি বিক্রেতা অচিন্ত্য দাসের সঙ্গে সবজির দাম নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পূর্ণেন্দু মহান্তি। অচিন্ত্য দাস পূর্ণেন্দু মহান্তিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তখনকার মতো বিষয়টি মিটিয়ে গেলেও তার জেরে যে তাঁকে খুন হতে হবে সেটা ভাবতে পারেননি পূর্ণেন্দু মহান্তি নিজেও।
নিজের গ্রাম সারেঙ্গা থানার সারেসকোল গ্রামের ভাস্কর বাধেঁর কাছে গতকাল সন্ধ্যার সময় কানে ফোন নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিলেন পূর্ণেন্দুবাবু। অভিযোগ, সেই সময়ই গ্রামের যুবক সবজি বিক্রেতা অচিন্ত্য দাস একটি বাঁশ নিয়ে তাঁর মাথার পেছনে আঘাত করে। মাটিতে পড়ে গেলে মুখে ও বুকে বাঁশ দিয়ে অনবরত আঘাত করা হয়। বুকে পা দিয়ে লাথিও মারা হয়। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পূর্ণেন্দু মহান্তি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সারেঙ্গা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে সারেঙ্গা থানার পুলিশ সবজি বিক্রেতা অচিন্ত্য দাসকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু কী কারণে এই খুন? শুধুমাত্র কি সবজির দাম নিয়ে বচসার জেরে খুন হতে হল সারেঙ্গা অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীকে? তৃণমূলের ভাল সংগঠক হিসেবে নামডাক ছিল পূর্ণেন্দু মহান্তির। এর পেছনে কী কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? গ্রামের কেউ কেউ সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তৃণমূল কর্মীর এমন ভাবে রহস্যজনক মৃত্যু ঘটায় অতি তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে সারেঙ্গা থানার পুলিশ।