বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২৩ অক্টোবর। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। প্রথম পদক্ষেপ ছিল বিরাট কোহলিদের গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে রাজি করানো। নিছকই কাকতালীয়। কিন্তু বোর্ড সভাপতির মসনদে এক মাস পূর্ণ হওয়ার পরদিনই প্রিয় ইডেনে দিন–রাতের টেস্টের সফল পরিসমাপ্তি। দেওয়াল লিখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল শনিবার রাতে। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস। রবিবার ইডেনের পড়ন্ত বিকেলে সৌরভ গাঙ্গুলির মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি। রবিবারের ইডেনে জিতে গেলেন দাদা। সিরিজ জিতে প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল বিরাট কোহলির মুখে। নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও।
বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দনের সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে শাস্ত্রীর টুইট, ‘‘দারুণ গোলাপি শো হল কলকাতায়। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আয়োজনে কোনও ত্রুটি নেই। ওয়েল ডান।’’ বাংলাদেশ দলকেও পরামর্শ দেন শাস্ত্রী। বলেন, ‘‘বিদেশে গিয়ে আরও খেলতে হবে বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে বোলিংকে শক্তিশালী করতে হবে। মুশফিকুর প্রমাণ করেছে ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’
রবিবার মাত্র ৪৭ মিনিটে ম্যাচের যবনিকা পতনের পর তিন তলার বক্সে থাকা বোর্ডের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরিকে নিয়ে মাঠে নেমে গেলেন সৌরভ। প্রথম দিনের মতোই আগাগোড়া তদারকি করলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর বিরাটরা যখন মাঝমাঠ থেকে দর্শকদের অভিবাদন জানাচ্ছেন, দেখা গেল এক সদস্য মারফত বিরাটকে কিছু একটা বলে পাঠালেন সৌরভ। অবিলম্বে গ্যালারির আরও কাছাকাছি চলে গেল বিরাটবাহিনী। বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়ানো বোর্ড সভাপতির চোখে–মুখে তখন অদ্ভুত প্রশান্তি।