মহারাষ্ট্র যেন এক রঙ্গমঞ্চ। সেখানে সরকার গড়া নিয়ে নাটক অব্যাহত। টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই যখন ঠিক হয়ে যায় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার গড়া চূড়ান্ত, সেই মুহূর্তেই রাতারাতি সব হিসেব গুলিয়ে দিয়ে মহারাষ্ট্রের মসনদে বিজেপি। সরকার গড়তে তাদের সাহায্য করছে একদা ‘বিরোধী’ অজিত পাওয়ার। ঘোষণার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এনসিপির অজিত পাওয়ার! তবে এরপরেও অবসান ঘটেনি নাটকের। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস একজোট হয়ে পৌঁছে গেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলা চলছে। এই আবহে রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করলেন মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা।
একটি পুরনো কবাডি ম্যাচের ভিডিয়ো টুইট করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, ‘মনে আছে এই ভিডিয়োটা টুইট করেছিলাম? মহারাষ্ট্রে এখন যা ঘটছে, তা এর থেকে যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় কি?’ ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি কবাডি দলের রাইডারকে মাটিতে ফেলে পরাস্ত করে ফেলছেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। ফিনিশিং লাইনের সামনে দাঁড়িয়েও নিজের ঘরে ফিরতে পারছেন না তিনি। নিজের রাজ্যের অম্তহীন রাজনৈতিক নাটক নিয়ে এ ভাবেই কটাক্ষ করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।
মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আনন্দ মাহিন্দ্রার মতো কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কাও। অজিত পওয়ারের বিরোধী শিবিরে হাত মেলানোকে খোঁচা দিয়ে তাঁর টুইট, ‘শেয়ারড পওয়ার’। এতেই থেমে থাকেননি হর্ষ। একটি রিটুইট দেখা যায় তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে। তাতে লেখা, ‘সবচেয়ে বেশি বাঁক পরিবর্তন করেছে, আমার দেখা এমন তিনটে ফিল্ম হল: ‘রেস’, ‘অন্ধাধুন’, ‘মহারাষ্ট্র সিএম কৌন?’। মনে হচ্ছে, শেষ ফিল্মটি এখনও বাকি রয়েছে। আমাকে কেউ পপকর্ন দেবেন!’ এহেন ব্যঙ্গ কটাক্ষের মধ্যে দিয়েই চলছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ।