দু’দশকেরও বেশি সময়ে খরা কাটিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর তখত দখল করতে চলেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী হবেন বালাসাহেব পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। শুক্রবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই আনন্দে মেতে উঠেছিলেন শিবসৈনিকরা। আত্মবিশ্বাসে ডগমগ হয়ে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতও গতকাল বলেছিলেন, ‘ভগবান ইন্দ্র এলেও বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না।’ ইন্দ্র আসেননি ঠিকই। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাশা উল্টে গেল পুরোপুরি। শিবসেনা নেতাদের ঘুমের ঘোর কাটার আগেই রাজভবনে দ্বিতীয় বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিশ। আর বিজেপিকে সমর্থন জুগিয়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনসিপি নেতা তথা শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। কিছুক্ষণ আগেই সামনে এসেছে শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের এক হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পার্টি ও পরিবার ভেঙে গেল।’ আর এর জেরেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তবে কি ভাঙতে চলেছে এনসি পি?
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, তবে কি ভাঙন লেগেছে এনসিপি পরিবারে?’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে যে চিঠি শরদ পাওয়ার পেশ করেছেন তাতে এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কেরই সাক্ষর রয়েছে। যদিও এনসিপি নেতা নোয়াব মালিকের অভিযোগ, ‘দলীয় বিধায়কদের সইয়ের অপব্যবহার করেছেন অজিত পাওয়ার।’
এহেন পরিস্থিতিতেই নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে দলের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা ছাড়া এনসিপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অজিত পাওয়ারের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারেন শরদ পাওয়ার। যদিও এই বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিন বিকেল ৪.৩০ মিনিটে দলের সমস্ত বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছেন শরদ পাওয়ার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি-শিবসেনা-কংগ্রেসের বৈঠকে স্থির হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে শনিবার সকালে যে এমন হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কোনও পক্ষই। কংগ্রেস, শিবসেনা ও এনসিপি-সব পক্ষেরই দাবি, বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অজিত পাওয়ার।’