শনিবার সাতসকালেই মহানাটকীয় মোড় নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। গোটা দেশকে চমকে দিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। আগামী ৩০ নভেম্বর সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার কথা তাদের। যা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা শেষ হল। কিন্তু এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। আর সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে তাঁরা ঘোষণা করলেন, সরকার গড়বেন তাঁরাই। কারণ গরিষ্ঠতা প্রমাণ করার মতো সংখ্যা বিজেপির হাতে নেই।
এদিন উদ্ধবদের কথায় স্পষ্ট, তাঁরা এখনও আশা ছাড়ছেন না। অন্যদিকে, শরদ বলেন, ‘কোনও প্রকৃত এনসিপি কর্মী কখনও বিজেপিকে সমর্থন করতে পারে না।’ তিনি জানান, তাঁর ভাইপো যে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছেন, সেকথা শনিবার সকালের আগে তিনি জানতেন না। এদিন ভোর সাড়ে ছ’টায় তাঁকে একজন ফোন করে বলেন, রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির বাসভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাঁর দাবি অজিতের সঙ্গে বড় জোর ১০ থেকে ১১ জন বিধায়ক আছেন। যদিও এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অজিত বাদে এনসিপির আর কাউকেই দেখা যায়নি। বরং ৩ বিক্ষুব্ধ এনসিপি বিধায়ক বলেছেন, অজিত পাওয়ার তাঁদের ঠকিয়েছেন।
কীভাবে অজিত এত বড় কান্ড ঘটালেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো জানান, যে কাগজে বিধায়কদের সই করানো হয়েছিল শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করার জন্য, সই করা সেই কাগজটি অজিত দিয়ে দেন রাজ্যপালকে। অজিত নিজে পরিষদীয় দলের নেতা। তাই চিঠিটি তিনি নিজের প্যাডেই দিয়েছেন। অর্থাৎ রাজ্যপালের কাছে যে চিঠিটি রয়েছে সেটি বৈধ, সইগুলিও আসল। তবে সেইসঙ্গে পাওয়ার এ-ও জানিয়েছেন যে, ভাইপো অজিতের সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে এনসিপির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর সাফ কথা, আমরা বিধানসভায় জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ করব। পাওয়ারের সুরে সুর মিলিয়ে উদ্ধবও বলেন, আমরা পাওয়ার সাহেবের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করব। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ব আমরাই।