ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ্যে এলো এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি’র প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। তাঁর নাম কাজল বিশ্বশর্মা। তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি নিয়ে শিলিগুড়ি সূর্য সেন মহাবিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি মিছিল করে এনজেপি থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই পথযাত্রায় পা মেলান তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দও।
এ প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্ণয় রায় জানান, অভিযুক্ত কাজল বিশ্বশর্মার যেন কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হয়। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন আশ্লীল আচরণ করার সাহস না পায়। অবিলম্বে দাবি না মানা হলে দল আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ওই প্রাক্তন বিজেপি নেতা একটি রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কে কর্মরত। সেই ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট ছিল চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর। সেই অ্যাকাউন্টে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় কাজ করে দেওয়ার নামে তাঁকে ব্যাঙ্কে ডেকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। কলেজ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় ওই ব্যক্তি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এরপর কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন ছাত্রী। পরে সম্পূর্ণ ঘটনাটি বাড়ির লোকেদের জানান। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পরিবারের তরফে এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস ও ছাত্র সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখান হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার এই ঘটনায় কঠোর নিন্দা প্রকাশ করে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই ব্যক্তি একাধিক অসাধু কাজের সঙ্গেও জড়িত। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কাজের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, উনি দলের কোনও পদে নেই। পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন বলেই মনে হচ্ছে। তবে আইন আইনের পথেই চলবে। অভিজিৎবাবুর বক্তব্য শোনার পর তৃণমূলের বক্তব্য, নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতেই বিজেপি এমন মন্তব্য করছে বলে তৃণমূলের দাবি।