বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরি। এর আগে নিজের দেশে হয়ে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। একজন স্পিনার হয়ে তিনি খুব ভালমতোই জানেন, এই বলে বল করতে গেলে স্পিনাররা কতটা অসুবিধায় পড়ে। তাই ইন্দোরে স্পিনারদের হাতে তিনি তুলে দেন জলের বালতিতে রাখা ভেজা বল। সেই বল নিয়ে নেটে ঘণ্টা তিনেক প্র্যাকটিস করলেন মিরাজরা। ইডেনে নেমেও এভাবেই প্র্যাকটিস চলবে।
ইন্দোর টেস্টে তিনদিনে ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রবিবার দলের অপশনাল প্র্যাকটিস ছিল। কিন্তু সোমবার পুরো দল মাঠে নেমে পড়ে। আর সেখানেই চমক। ভারতীয় দলের মতো বাংলাদেশও মনে করছে, এই বলে গোধূলি লগ্নে খেলা কঠিন। কারণ, তখন আলো পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। সূর্যাস্তের সময় আলো কমে যায়। ফ্লাডলাইট জ্বলে। এই সময় নিজেদের মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এটা অ্যাডজাস্ট করতে পারলে গোলাপি বলে খেলা সমস্যা হবে না। তাই গতকাল এইসময়েই মাঠে প্র্যাকটিস করল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ প্র্যাকটিসের শেষে বলেন, লাল বলের সঙ্গে গোলাপির ফারাক তো আছেই। নেটে ব্যাট করে দেখলাম, পেসাররা বেশি সুইং পাচ্ছে। বাউন্সও পাচ্ছে। এর সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নেওয়া কঠিন। আমি নিজে ব্যাট করে দেখলাম। পেসাররা সুবিধা পাচ্ছে। বলের গতিও বাড়ছে। আমরা সবে শুরু করলাম। এরপর হয়তো মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না।” ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নেটে বলও করেছেন মিরাজ। স্পিনার মিরাজের মতে, বল ভিজে যাওয়ার পর গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে। সে সাদা বলের ক্রিকেটেও হয়। এখানে স্পিন হচ্ছে না। বল স্কিট করছে। পেসারদের মতো পিচ থেকে বাউন্সও পাওয়া যাচ্ছে।
ভিজে বলে সমস্যা হবে জেনে ভেত্তোরি জলের বালতিতে আগে থেকে বল রেখে দিয়েছিলেন। স্পিনাররা নেটে আসতে তাদের হাতে সেই বল তুলে দেওয়া হয়। তারপরই এমন পরীক্ষা। দলের পেসার আবু জাহেদও জানিয়ে দিলেন, “গোলাপি বল সুইংয়ের পাশে স্কিটও হচ্ছে। বল বেশি ডিক করে। গোলাপি বলে এটা বেশি হচ্ছে। সুইং বেশি হলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখাও কঠিন কাজ। সেটা দেখতে হবে।