মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে। চরমে উঠেছে বিজেপি-শিবসেনা কাজিয়াও। যার জেরে দিনকয়েক আগেই শিবসেনার একমাত্র মন্ত্রী কেন্দ্রে এনডিএ মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এরই মধ্যে গত রবিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ঘোষণা করেন, শিবসেনা সাংসদদের এবার থেকে বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে। আর এতেতে রীতিমতো চটেছে শিবসেনা। দলের মুখপাত্র ‘সামনা’-য় মঙ্গলবার বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়েছে, কোনও আলোচনা ছাড়াই আমাদের এনডিএ থেকে বাদ দেওয়া হল।
শিবসেনার মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্ত পদত্যাগ করলেও তাঁর দল আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেনি। তার আগেই তাদের বিজেপি জোট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেজন্যই অসন্তুষ্ট হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশী ঘোষণা করেছেন, শিবসেনাকে এনডিএ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। কারণ মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য তারা জোট বাঁধছে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে। সংসদের দুই কক্ষে শিবসেনা সাংসদদের বিরোধী আসনে বসতে বলা হয়েছে। যাঁরা শিবসেনাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা জানেনই না, এই দল অতীতে কী করেছে।
উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক ধরে শিবসেনার সঙ্গে জোট ছিল বিজেপির। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ‘সামনা’-য় বলা হয়েছে, যখন বিজেপি দলটি তৈরি হল, কেউ তাকে সমর্থন করেনি। এখন যাঁরা সরকারের বিভিন্ন পদে আছেন, এনডিএ তৈরি হওয়ার সময় তাঁদের অনেকের জন্মও হয়নি। যখন কোনও দল বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি হয়নি, তখন একমাত্র আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম। শিবসেনার অভিযোগ, যখন এনডিএ তৈরি হল, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হত। লালকৃষ্ণ আডবানী অথবা জর্জ ফার্নান্ডেজের মতো নেতা কখনও আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিতেন না। কিন্তু এনডিএ-র এখনকার নেতারা আর গণতন্ত্র মেনে চলেন না। এক্ষেত্রে যে মোদী-শাহকেই আক্রমণ করা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।