মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৯ জুলাই শুরু করেছিলেন তাঁর নয়া কর্মসূচী ‘দিদিকে বলো’। সেদিনই বলা হয়েছিল ১০০ দিনের মধ্যে ১০ হাজার গ্রাম ঘুরবেন নেতারা। ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে। শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পর্যালোচনা।
গতকাল ২ জেলার নেতাদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অফিসে প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, প্রশান্ত কিশোর। সকাল ১১টা নাগাদ প্রথম বৈঠক হয় হাওড়ার নেতাদের সঙ্গে। তাঁদের কাছে কর্মসূচীর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।
গতকাল পার্থ, ফিরহাদ, ইন্দ্রনীল, অভিষেক, প্রশান্ত কিশোর বক্তব্য পেশ করেন। দলের তরফে বলা হয়েছে এলাকায় যাঁরা প্রভাবশালী, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে, যোগাযোগ রাখতে হবে। ২ মাস পর ফের হাওড়া ও হুগলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নেতারা। এভাবেই শুরু হবে জেলা ধরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর পর্যালোচনা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরদের এই কর্মসূচী পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেবাশিস কুমার, শান্তনু সেন এই কর্মসূচী পালন করেছেন।
গতকাল অধিকাংশ বিধায়ক বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে ভাল সাড়া পাওয়া গেছে। মানুষের অভাব–অভিযোগ আমরা শুনেছি। সাধ্যমতো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি। বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচী আরও ভালভাবে পালন করতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আর ১৫ মাস বাকি। সকলের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারেন স্থানীয় বিধায়করা আমার ঘরের লোক।