কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই ইডেনে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ‘পিঙ্ক সিটি’ হয়ে উঠবে শহর কলকাতা। ইডেনের উইকেটে পড়বে গোলাপি বল। আজ শহরে চলে আসছেন বিরাট কোহলিরা। অর্থাৎ, উদ্মাদনার পারদ আজ থেকে আকাশ ছোঁবে।
২২ নভেম্বর ইডেনে বসছে চাঁদের হাট। দু’দেশের হাই প্রোফাইল অতিথিরা তো থাকছেনই। এ বার যোগ হল বলিউডও। ইডেনে থাকছেন ‘মর্দানি টু’-র নায়িকা রানি মুখোপাধ্যায়ও। সোমবার দাদাগিরি মঞ্চে সৌরভের সঙ্গ দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটালেন তিনি। কলকাতা থেকে রসগোল্লা আর সন্দেশ যেমন নিয়ে যাবেন মুম্বইয়ে, তেমনই সৌরভের সঙ্গে জমিয়ে এ দিন ফুচকা খেলেন রানি। বললেন, ‘আমার প্রিয় ক্রিকেটারের ডাকে বারবার ছুটে আসি। এই নিয়ে বোধহয় তিন বার সৌরভের সঙ্গে দেখা হল।’
ঐতিহাসিক টেস্ট ঘিরে তৈরি হচ্ছে ইডেনের অনুষ্ঠানের অভিনব মঞ্চ। যে মঞ্চে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজ ঘাসের উপর মঞ্চের ছবি দেখলেই চমক লাগে। গোলাপি এবং কমলা রংয়ের অভিনব মিশেল। আধখানা চাঁদের মতো মঞ্চের মাঝখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের লোগো। দু’দিকে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা গোলাকার আকৃতিতে করা। মঞ্চের পাটাতন নিখাদ গোলাপি রংয়ের। তলায় লাগানো আছে চাকা। অনুষ্ঠান হয়ে গেলেই মঞ্চ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত মাঠেই লাইভ বাজানোর কথা আর্মির। ড্রাম-বিউগলে জনগনমনের সুর তুলবেন তাঁরা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার ইডেনে এসেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তাঁর টিম নিয়ে ইডেনের প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখেন। পরে সচিব অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে মিটিংও করেছেন। জানা গেল, নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনও সমস্যা নেই। ক্লাব হাউসের সামনের রাস্তাতেও গার্ড ওয়াল দেওয়া হবে। যাতে, বাইরে থেকে ভিতরটা দেখা না যায়। নিরাপত্তায় খামতি রাখা হচ্ছে না।