বর্তমানে দেশের অর্থনীতির হাল বেশ খারাপ। কারখানায় উৎপাদন কমে গিয়েছে, আবাসন, গাড়ি শিল্পে চূড়ান্ত মন্দা, সেই সব শিল্পে কর্মী ছাঁটাই চলছে, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। নিত্যই বাড়ছে বেকারত্ব। আর এই আবহে এবার নতুন সঙ্কট তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে।
মোটা বেতন পাওয়া মাঝামাঝি স্তরের কমপক্ষে ৩০০০০–৪০০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে দেশের নামী তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলি। সোমবার সেই ইঙ্গিত দিলেন আরিন ক্যাপিটাল এবং মণিপাল গ্লোবাল এডুকেশন সার্ভিসের চেয়ারম্যান টিভি মোহনদাস পাই। কারণ, নামী তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলির আর্থিক বৃদ্ধিতেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার ফলস্বরূপ বহু কর্মীর চাকরিরই এখন টলমল দশা। যা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্মীরা। এর প্রতিবাদে কর্মীরা পথেও নেমেছেন।
সোমবারই কলকাতার তথ্য প্রযুক্তি তালুকে মিছিল এবং সভা হয়েছে। কর্মীদের সংগঠন এআইআইটিইইউ এবং সিপিএমের যুব সংগঠন তার উদ্যোক্তা ছিল। সূত্রের খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর চাকরিতে কোপ পড়তে পারে।
দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির কারণেই এই অবস্থা বললেন পাই। তাঁর প্রশ্ন, ‘যখন আপনি মোটা বেতন পাচ্ছেন কিন্তু কাজে ঠিক মতোন দক্ষতা দেখাতে পারছেন না তখন আপনার আর সেখানে থাকা উচিত কি? আর যখন অর্থনীতির বিকাশ ঘটে তখন কোম্পানিগুলতেও বৃদ্ধি হয়। তখন প্রচুর কর্মসংস্থান হয়। কর্মীদেরও দ্রুত উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর অর্থনীতি কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লে মোটা বেতনের কর্মীদের ছাঁটাই করতেই হয় কোম্পানি বাঁচাতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইটি সেক্টরে মিডল লেভেলের ১০ থেকে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মী রয়েছেন প্রায় এক পঞ্চমাংশ। প্রায় ৬ লক্ষ কর্মীর মধ্যে ৭ শতাংশের চাকরি যেতে পারে আগামী ১২ মাসের মধ্যে। তাতেই কপালে চিন্তার ভাজ কর্মীদের।