কোন মন্ত্রী কেমন কাজ করছেন? কোন দফতরে এখনও কী কী কাজ বাকি আছে? সবই তাঁর নখদর্পণে। তাই বছর বছর যেমন মন্ত্রীদের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেন তিনি, তেমনি প্রয়োজন বুঝলে মন্ত্রকের রদবদলও ঘটান। বাংলার উন্নয়নের ধারাকে আরও তরান্বিত করতে এবার ফের রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে কারও দফতর যেমন বদলে গেল, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার দায়িত্বও বাড়ল বা দফতর বিহীন অবস্থার অবসান ঘটল।
প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দফতরেরই দায়িত্বে থাকছেন। দুই দফতবিহীন মন্ত্রীকে দফতর ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনের দফতর কমানোও হচ্ছে। তবে নতুন কাউকে মন্ত্রী করা হচ্ছে না। যেমন পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে। সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নও বেশ কিছু দিন ধরে সামলাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর ভার খানিকটা লাঘব করে এই দফতরটি এবার শান্তিরাম মাহাতকে দেওয়া হল। পুরুলিয়ার বলরামপুর আসনের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতকে এতদিন দফতর বিহীন মন্ত্রী করে রেখেছিলেন মমতা। কিন্তু শান্তিরাম আবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হলেন।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে যেমন একটি দফতর গেল, তেমন একটি নতুন দফতরও তাঁর হাতে এল। বিদ্যুৎ এবং অচিরাচরিত শক্তি দফতর এত দিন সামলাচ্ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অচিরাচরিত শক্তি দফতরটি শোভনদেবের হাত থেকে নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে দিয়ে দেওয়া হল। দফতর বদল হল ব্রাত্য বসুরও। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি দফতরের পাশাপাশি বন দফতরও এত দিন সামলাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু এ বার বন দফতর ব্রাত্যর হাত থেকে সরান হল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রী হলেন। এত দিন যে দফতর রাজীব সামলাচ্ছিলেন, সেই অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণের দায়িত্ব পেলেন উত্তরবঙ্গের বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। শান্তিরামের মতো বিনয়কৃষ্ণকেও এত দিন দফতর বিহীন করে রেখেছিলেন মমতা।