অযোধ্যা মামলায় সম্প্রতি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে বলেই রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু মন্দিরের চাবি কাদের হাতে থাকবে, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিবাদ। অন্যদিকে জানা গেছে, রামজন্মভূমি ট্রাস্টে অন্য কোনও ধর্মের প্রতিনিধি চায় না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ৷ শুধু তাই নয়, হিন্দুদের মধ্যেও তারা চায় শুধু শৈব ও বৈষ্ণবরাই ট্রাস্টে থকুক৷ যাঁরা নিরাকার ব্রহ্মার উপাসক, তাঁদেরও ট্রাস্টে রাখা নিয়েও যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের এই সংগঠনের৷ তা ছাড়া তারা সরকারি অফিসার বা রাজনীতিকদেরও ট্রাস্ট রাখতে নারাজ৷ তবে তাঁরা অবশ্যই চান, মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধু-সন্তরা যেন অবশ্যই ট্রাস্টে থাকেন৷ শঙ্করাচার্যদের ট্রাস্টে রাখা নিয়ে অবশ্য তাঁদের কোনও আপত্তি নেই৷
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের দাবি, অনেক চেষ্টা, লড়াই, সংঘর্ষ, জন আন্দোলনের পর অবশেষে রামমন্দির বানানোর পথ প্রশস্থ হয়েছে৷ সেখানে এখন মন্দির বানানো নিয়ে এমন কোনও পদক্ষেপ যেন না নেওয়া হয়, যাতে আবার বিতর্ক হয়, আবার মন্দির তৈরির পথে কোনওরকম সঙ্কট দেখা দেয়। বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছে, ট্রাস্টে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে নিতে৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকেই আপত্তি আসছে৷
খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চাইছে, মন্দির নির্মাণের কাজটা মূলত তাঁদের তত্ত্বাবধানে হোক৷ সরকারি অফিসারদের ক্ষেত্রে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আপত্তির কারণ হল, তাঁদের চাকরির নীতি অনুযায়ী কয়েক বছর পরপর তাঁদের বদলি হতে হয়৷ কোনও একটি পদে একই অফিসার দীর্ঘদিন ধরে থাকেন না৷ ফলে সরকারি অফিসারদের রাখলে বারবার তাঁদের বদলি করা হবে৷ তাতে মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে অসুবিধা হওয়া স্বাভাবিক৷ রাজনীতিকদেরও বদল ঘটে৷ আজ যাঁরা ক্ষমতায় আছেন কাল তাঁরা থাকবেন না৷ কিন্তু মন্দির নির্মাণ ও পরিচালনার ব্যবস্থা যেখানে ট্রাস্টের হাতে থাকবে, সেখানে স্থায়ী প্রতিনিধি থাকাটা বাঞ্ছনীয় বলে তাঁরা মনে করছেন৷