ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে শিবেসনা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও কংগ্রেস। এবার মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ব্যাপারে আরও একটি ব্যাপারে একমত হল ভোট পরবর্তী তিন দলের জোট। শরদ পওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবসেনা থেকেই। স্পিকার হবে কংগ্রেস থেকে। বাদবাকি পদ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এনসিপি মুম্বইয়ের প্রেসিডেন্ট নবাব মালিক শনিবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘যে আত্মসম্মান বজায় রাখার জন্য তারা পুরনো জোট ছাড়ল তাকে সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য, তাই মহারাষ্ট্রে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সেনা থেকেই। সরকারে কংগ্রেস যোগ দেবে নাকি তারা বাইরে থেকে সমর্থন করবে, সে ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত হবে।’
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে রবিবার বৈঠক হওয়ার কথা এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ারের। ওই বৈঠকের পরেই কংগ্রেস তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, বৈঠক শেষ হলে সনিয়া গান্ধী ও শরদ পওয়ার দেখা করতে পারেন শিবসেনার সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। তখনই ক্ষমতার বিন্যাস নিয়ে চূড়ান্ত মোহর পড়বে।
শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস যদি সরকারে যোগ দেয় সে ক্ষেত্রে শিবসেনা এবং এনসিপি পাবে ১৪টি করে মন্ত্রক এবং কংগ্রেস পাবে ১২টি। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন শিবসেনার কেউ। এ ব্যাপারে উদ্ধব ঠাকরের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার চেষ্টা করছিল শিবসেনা।
কোনও দলই সরকার গড়তে না পারায় মহারাষ্ট্রে এখন রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে।২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় জোট বেঁধে ভোটে লড়েছিল বিজেপি ও শিবসেনা। ২৪ অক্টোবর ভোটের ফল প্রকাশিত হয়। শিবসেনা ও বিজেপি যৌথভাবে সরকার গড়ার মতো গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। বিজেপি ১০৫, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছিল।